আজকে ইতালী ও জাপানের ২টি পরিবার বাংলাদেশকে ঘৃনা করে; পরিবার ২টির ঘনিস্ট পরিবারগুলো বাংলাদেশকে ঘৃণা করে; এই দুই দেশের মানুষ আজকে বাংলাদেশ পছন্দ করছে না; অথচ, এই ২টি দেশ বাংগালীদের জন্য স্বপ্নের দেশ; বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশী দান করেছে জাপান। যেসব বাংগালী ইউরোপে ভাগ্যান্নষণে যায়, ইতালীই তাদের লিস্টের প্রথমে।
জাপান ও ইতালীর নাগরিক নিহত হওয়াতে, পরিকল্পনায় ও হত্যার সাথে জড়িত ১৫/২০ জন ব্যতিত সবাই ব্যথিত, চিন্তিত, শংকিত হয়েছেন। কিন্তু জাতি তা প্রকাশ করেনি কোনভাবে; বা প্রকাশের সুযোগ পাননি, বা বা সুযোগ আসেনি; এতে জাপানীরা ও ইতালিয়ানরা পুরো জাতির উপর মন খারাপ করতে পারে।
জাতি মোটামুটি তেমন দু:খ প্রকাশ করেনি; হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে শক্তভাবে দাঁড়ায়নি; এটা আমাদে জাতি সম্পর্কে খারাপ ধারণা দেবে।
পুরো জাতির সকল মিডিয়া বিদেশী মৃত ২ জনের ছবি বেঠিকভাবে প্রদর্শন করেছে; এই ব্যাপারটা আমি ফেলানী ও রাজেনের বেলায় লিখেছিলাম; আমাদের জার্নালিজম এখনো পাথরের যুগের; জাপানী পরিবার এতে মর্মাহত হয়েছে, ও শেষে অুরোধ করতে বাধ্য হয়েছে।
ইতালীর ৯৫% লোক হয়তো শেখ হাসিনার নাম জানে না, বা কোন ধরণের সরকার ক্ষমতায় আছে জানে না; ওরা আমাদের এখন ঠেকে পাকী বা ঐ ধরণের জাতি হিসেবে গণ্য করবে।
ইতিমধ্যে জাপানীরা আমাদের দেশ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে; তারা দেশের সরকার ও সরকারের পদক্ষেপের কথা জানতে চেয়েছে; মনে হচ্ছে, জাপানীজ নাগরিকদের তরফ থেকে বাংলাদেশের প্রতি সহানুভুতি কমে আসবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২১