বাংলাদেশের মানুষকে ক্রমেই অপরাজনীতির দিকে টেনে নিয়ে গেছে বিএনপি, জাপা, আওয়ামী লীগ, জামাত ও কয়েকটি আধা-বাম, সন্ত্রাসী বাম।
জামাত ১৯৫৩ সালে লাহোর গণহত্যা, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে তান্ডব, আফগান যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে, প্রমাণ করেছে যে, তাদের অপ-রাজনীতি পুরো মানবতা-বিরোধ, সামন্তবাদ ও সন্ত্রেসবাদ।
বিএনপি ও জাপা হলো পাকী আইয়ুবী মডেলের সামরিক শাসন, স্বৈরতণ্ত্র; কলোনী থেকে বের হওয়ার পর, সাধারণ বাংগালীরা গণতণ্ত্র থেকে উপকৃত না হওয়ায়, সামরিক শাসনকে বারবার অভিনন্দন জানায়েছে; অবশেষ বুঝতে পেরেছে যে, জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদেরা আইয়ুবী মডেলের লোকজন।
আওয়ামী লীগ আধা গণতান্ত্রিক দল হিসেবে শুরু করেছিল; কিন্তু দলটি গণতন্ত্রের চর্চা না করে, ব্যক্তির আদর্শে চলেছে সব সময়; শুরুতে মওলানা ভাসানীর প্রভাবে কিছুটা সোস্যালিস্ট মনোভাবের ছিল, সোহরাওয়ার্দীর সময়ে কিছু বুর্জোয়া ভাব নিচ্ছিল; শেখের সময় শেখের আদর্শে পরিচালিত, এখন গণতণ্ত্রের বদলে ' গণতণ্ত্রের মানসকন্যার' নির্দেশে চলছে।
বাংলাদেশের মানুষ শিক্ষিত না হওয়ায় সোস্যলিজম ভুলভাবে প্রবেশ করেছে এদেশে; সিরাজ শিকদার ও তার অনুসারীরা সবাই সন্ত্রাস করেছে বাম রাজনীতির নামে; আবার মোজাফ্ফর আহমেদ ও মতিয়া বেগমরা শুনে শুনে সোস্যালিজম'এর কথা বলছিলেন; যাক, উনারা শেষ অবধি নিজেদের যায়গা খুজে পেয়েছেন।
এখন জাতি যে অবস্হানে আছে, জাতি যদি বিশ্বের সাথে তাল মিলায়ে সুখে শান্তিতে থাকতে চায়, জাতিকে ক্রমেই সঠিক রাজনীতির দিকে অগ্রসর হতে হবে।
বিশ্ব এখন গণতণ্ত্রকে গ্রহন করেছে দেশ চালনার তত্ব হিসেবে; আবার, গণতণ্ত্র শুধু মাত্র ক্যাপিটেলিজমকে সাপোর্ট করে আসছে অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স' এর তত্ব হিসেবে।
গততন্ত্র ও ক্যাপিটেলিজমের মিলিত পরিচালনা ব্যবস্হায়, কিছু বড় ধরণের দোষ ধরা পড়েছে মানুষের চোখে, এবং এ দোষগুলো বেশ বড় ধরণের মানবতা-বিরোধী দোষ; গত ৪০০ বছরে, ক্রমে গণতন্ত্র ও ক্যাপিটেলিজম বিশ্বে বেশ স্হবিরতার সৃস্টি করেছে; মানুষ নতুন তত্বের মাধ্যমে মানবতাকে ফিরায়ে আনতে চাচ্ছে ও স্হবিরতা কাটাতে চাচ্ছে।
গত একশত বছর সোস্যালিজম খুবই ভালো করেছিল; মনে হয়, সামনে আরো ভালো করবে; তবে, সোস্যালিজমের কিছু রিফাইনমেন্ট হচ্ছে।
রাশিয়া ও চীন বিশ্বে দরিদ্র মানুষের মাঝে বিরাট আশার সন্চার করেছিল; সম্প্রতি, এই ২ দেশ থেকে সোস্যালিজমকে আসল তত্ব হিসেবে বাদ দেয়া হয়েছে; সমসয়া দেখা দিয়েছে যে, যারা দরিদ্র ছিল, তারা আর দরিদ্র নয়; মাত্র ২ জেনারেশনের মাঝে দরিদ্ররা তাদের দারিদ্রতা থেকে বের হয়ে যাওয়ায়, তারা নিজেরাই ধনীর স্বভাবে চলে গেছে।
বাংলাদেশো যদি আগামী ২ জেনারশনের মাঝেই দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পেতে চায়, মনে হয় সোস্যালিজমই শুধু তা করতে পারবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫২