জামাত প্রতিস্ঠার পর, দলটি মোট ৩ টি ভয়ংকর ভয়ংকর গণহত্যায় লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে; প্রতিস্ঠাতা আমীর থেকে সব আমীরের ফাঁসির আদেশ, বা কমপক্ষে জেল হয়েছে; আপাতত: এটাই হয়তো সবচেয়ে বড় অবদান।
১৯৪৭ সালে, পান্জাবের "হিন্দু মুসলামান" দাংগায় ২ মিলিয়ন মানুষ প্রাণ দিয়েছে; যদিও ভুলভাবে, এটাকে বলা হয় "হিন্দু মুসলিম" দাংগা, এটা আসলে ছিল "শিখ-মুসলমান" দাংগা; যেহেতু স্বাধীনতার সময়ের দাংগা, তাই স্বাধীনতার ভাষায় ইহা "হিন্দু মুসলামান" দাংগায় পরিণত হয়, ও বিনা বিচারে সব শেষ হয়।
পান্জাবের দাংগায় মুসলিমদের নেতৃত্ব দেয় জামাত; কিন্তু স্বাধীনতার ফাঁকে পড়ে বিনা বিচারে ২ পক্ষই সব কিছু মেনে নিয়েছে; ফলে, জামাতের ভুমিকা বের হয়নি।
১৯৫৩ সালে, লাহোরে জামাত "আহমেদিয়াদের" উপর গণহত্যা চালয়; নিহতদের অনেকেই সবে মাত্র ভারত থেকে এসেছিল; অপ্রস্তুত এই নিরীহ মানুষগুলোকে জামাত কচু-কাটা করেছে, কারণ, তারা ভালো মুসলিম নয়। যাক, তখন বৃটিশ বাহিনী থেকে আসা শক্ত মিলিটারী জেনারেল আযম খান শক্ত হাতে জামাতকে থামায়; বিচারে জামাতের আমীরের ফাঁসীর রায় হয়; কিন্তু সৌদীর বাদশাহ দরিদ্র পাকিস্তানকে টাকা দিয়ে মওদুদীকে বাঁচিয়ে দেয়; মাত্র ২ বছর জেল খেটে মওদুদী বেরিয়ে যায়।
বাংলাদেশের গণহত্যা নিয়ে শুধু একটা কথা বলা যায়; ২৫শে মার্চের রাতের পর, নতুন করে পাকী মিলিটারী আর মানুষ মারার বেশী সুযোগ পেতো না, যদি জামাত অস্ত্র হাতে তাদের সাহায্য না করতো; পাকী বাহিনীগুলো শহরগুলোতে আটকা পড়তো, ২/৩ মাসে ভেতরেই তারা হতাশ হয়ে পড়তো; জামাতী রাজাকার ও আল বদররা পাকী বাহিনীকে প্রতিটি বাড়ীতে নিয়ে গেছে, প্রতিটি মানুষের অবস্হান জানিয়ে দিয়েছে; এ রকম অপরাধ শুধু জামাতের দ্বারাই সম্ভব ছিলো। নিজ হাতে নিরস্ত্র মানুষ মেরেছে, পাকীদের হাতে তুলে দিয়ছে নিজের জাতির নারীকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৪