চেয়ারম্যান ভোটে ভোট দিতে গিয়ে যারা প্রাণ হারায়েছেন, তারা হয়তো পুরোপুরি অকারণে প্রাণটা হারায়েছেন; তারা নিজেদের পরিবারকে কস্ট দিয়ে গেছেন, অনেকেই স্ত্রী, ছেলেময়েকে অনিশ্চয়তার মাঝে রেখে বিনা কারণে প্রাণ দিয়েছেন; এদের মৃত্যুগুলো একেবারেই অবদানহীন ছিল; দেশের বর্তমান অবস্হায়, চেয়ারম্যান ও মেম্বার ভোট হলো মোটামুটি অপ্রয়োজনীয় লোকেল সরকার।
কয়েকজন প্রার্থীও প্রাণ হারায়েছেন; তাদের বেলায়, হয়তো এটুকু বলা যাবে যে, সবকিছুতে কিছুটা রিস্ক থাকে, পেতে হলে, হয়তো কোন কোন সময়ে হারাতেও হয়। যেসব প্রার্থী প্রাণ হারায়েছেন, তারা কি করার চেস্টা করছিলেন বুঝা খুবই মুশকিল।
বাংলাদেশের বাজেট হয় মিনিস্ট্রিতে, সেটাকে কার্যকরী করা হয় মিনিস্ট্রিগুলোর মাধ্যমে; এতে লোকেল সরকারের কোন ভুমিকা থেকে না; আসলে যারা লোকেল সরকারে নির্বাচিত হয়, তারা বাজেট ইত্যাদি শব্দের সাথে পরিচিত নন। এখন দেশে, সব ধরণের বিচারের জন্য মানুষ কোর্টে চলে যায়; কারণ, স্হানীয়রা কোন সমাধান দিতে পারে না।
সময়ের সাথে গ্রামের প্রশাসনকে কেন্দ্রের অধীনে নিয়ে এলে গ্রামীন প্রশাসনের বেশ উন্নতি হবে ও সরকারের কন্ট্রোল বাড়বে; এটা করার জন্য দরকার হবে দক্ষ এডমিনিস্ট্রেটর নিযুক্ত করা, ও সাথে সাথে চেয়ারম্যান ফেয়ারম্যনের পদকে বিলুপ্ত করে দেয়া।