সায়েন্স ও টেকনোলোজীতে, বিশ্বের অনেকের সাথে প্রতিযোগীতা করার মত অবস্হানে নেই আজকের বৃটেন ; জার্মানী, জাপান, চীন, ইসরায়েল, ফ্রান্সের কাছে বৃটিশ তার বড় বাজার আমেরিকাকে হারায়ে ফেলেছে। বৃটিশ পড়ালেখাও এখন আর আগের মত ধারালো নয়; বিশ্বের ধনীদের ছেলেমেয়েদের পরিবর্তে আফ্রিকা ও এশিয়ার দরিদ্রদেশগুলোর ছেলেমেয়েরা লন্ডনে পড়তে এসে কাজ করছে অনেকেই।
পুর্ব ইউরোপের ধনীরা নিজের দেশ ছেড়ে বৃটেনে চলে আসছে, কিন্তু ওরা বৃটিশদের মতো সৎ নয়; তাছাড়া কলোনী থেকে আসা পুরাতন নাগরিকদের আত্মীয় স্বজন এখনো আসছে। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের লোকেরা যখন ইচ্ছা করছে, লন্ডনে এসে চাকুরী করছে, ব্যবসা বাণিজ্য কিনে নিচ্ছে। পর্তুগাল, স্পেন, গ্রীকদের বোঝা আর টানার মতো অবস্হানে আর নেই বৃটিশরা।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের পার্লামেন্টের অনেক আইন বৃটিশের সংস্কৃতি ও ট্রেডিসানের সাথে সম্পুরক নয়। আরো বড় সমস্যা আছে, সেটা হলো, ইউরো মুদ্রার ওজন কমে বাড়ে সব সদস্যদের ফাইন্যানসিয়ালের উপর নির্ভর করে; গ্রীক, স্পেন, পর্তুগালের অর্ধেক লোক বেকার; ইউরোর সাথে তাল মিলাতে গিয়ে পাউন্ডকে অকারণ চাপের মাঝে পড়তে হচ্ছে ক্রমাগতভাবে।
ব্রিটেনের মানুষ বলছে, ওরা এশিয়া ও আফ্রিকার রিফিউজীদের চাপে নিজ দেশে আর নিশ্বাস ফেলতে পারছে না; সাধারণ মানুষের ধারণা, ইউরোপ ও আফ্রিকার মানুষেরা এইদেশে বাস করতে এসে নিজেদের সংক্কৃতি ধরে রাখে, সেটা ভালো; কিন্তু তারা বৃটিশ জীবন ও সংস্কৃতিকে সমালোচনা করে, যা এখন সহ্য সীমার বাইরে চলে গেছে; এদের চাপে বৃটিশ সংস্কৃতি হারিয়ে যাবার উপক্রম হচ্ছে; কিন্তু এদের ব্যাপারে বৃটিশের নিজের আইন থেকে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের আইন বেশী খাটানো হচ্ছে।
লন্ডনের বৃটিশ শ্রমিকেরা বলছে যে, গত ২০ বছরে ওরা মালিককে বেতন বাড়াতে বলার সাহস করেনি; কারণ, অনেক কম বেতনে চাকুরী করার লোক দরজার বাইরে অপেক্ষা করছে; তারা নিজ দেশে প্রবাসী শ্রমিক; এটা আর চলতে দেয়া যায় না।
খারাপ হয়নি, কয়েক'শ বছর পৃথিবীকে চালায়েছে, আলোক দেখায়েছে, এখন একটু ক্লান্ত, নিজের দিকে নজর দিক; নতুন সংবাদ হলো, সাময়িকভাবে ইউরোপের নেতা হবে জার্মানী।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:২০