ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটিশের বের হয়ে যাওয়াকে সমর্থন করেছে ট্রাম্প, কিন্তু আমেরিকা সাপোর্ট করেনি; এখানে পুরো আমেরিকার সাথে ট্রাম্পের মতের গরমিল; আমেরিকা মনে করছে যে, বৃটিশ এতে নেতৃত্ব হারায়ে ফেলবে; আমেরিকা চায় ইউরোপের নেতৃত্বে থাকুক বৃটিশ। ভোটের ফলে পাউন্ড ও ইউরোর পতন, স্টক-মার্কেটের পতন মানুষের মাঝে কিছুটা ভীতির সন্চার করেছে, অনেকে বলছে, বৃটেন ব্যাংকিং ব্যবসা ও কারেন্সী ব্যবসা হারিয়ে ফেলবে।
এদিকে হিলারীর লোকেরা মানুষের মনোভাব বুঝতে পেরে ট্রাম্পকে আক্রমণ করেছে; এটা সত্য যে, যারা ট্রাম্পকে অন্ধভাবে সাপোর্ট করে, তারাও বৃটিশের বের হয়ে যাওয়াকে ভালো চোখে দেখছে না। অনেকে ভাবছে, ট্রাম্প আমেরিকার সব ট্রেড চুক্তিগুলো বাতিল করে দিয়ে আমেরিকাকে কি এক ঘরে করে ফেলবে?
এ সপ্তাহে জনমত জরীপে ট্রাম্প ১১ পয়েন্ট পেছনে; ৩/৪ সপ্তাহ আগেও ট্রাম্প ১২ পয়েন্ট পেছনে ছিল বরাবর; কিন্ত গত ২ সপ্তাহে ট্রাম্প এগিয়ে গিয়ে গলায় গলায় হয়ে গিয়েছিল; দরকার ছিল, সেখানে থেকে ২/৩ পয়েন্ট সামনে চলে যাওয়া; পেছনে থেকে কাছাকাছি গিয়ে আবার পেছনে ফিরে আসা খারাপ লক্ষণ।
ট্রাম্পের ট্যাক্সের বিবরণ প্রকাশ না করা, মেক্সিকান মাতাপিতার ঘরে আমেরিকায় জন্ম গ্রহন-করা এক বিচারককে মেক্সিকান বলায়, ট্রাম্পের সাপোর্টাররাও বিপদে আছে ট্রাম্পকে নিয়ে; তার উপর বাড়তি ঝামেলা হলো ই'ইউ থেকে বৃটিশের বের হও্যাকে সমর্থন; আরো খারাপ সংবাদ হচ্ছে, কয়েকজন বড় মাপের রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্পের বিপক্ষে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পার্টির সদস্য পদ ছেড়ে দেবে বলছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:০২