বিএনপি মোটামুটি দুর্বল হয়ে গেছে; তাদের জীবনের স্পন্দন শোনা যায় রিজভীর বিবৃতিতে, খালেদা জিয়ার সাংবাদিক সন্মলনে, বা বেগম জিয়ার কোর্টে উপস্হিতির সময়ে; এ'ছাড়া রাজনৈতিক কোন কর্মকান্ড নেই বললেই চলে। তবে, বিএনপি'র ভোট ব্যাংক এখনো অক্ষত আছে বলে মনে হচ্ছে; লক্ষণ হচ্ছে, চেয়ারম্যান ভোটে তারা সামান্য সীট হলেও পেয়েছে; এই সামান্য সীটও আওয়ামী লীগের জন্য ভাবনার কারণ হতে পারে।
আওয়ামী লীগ দলীয় পর্যায়ে চেয়ারম্যান ভোট করেছে, বিএনপি'র ভোট ব্যাংক সম্পর্কে একটা ধারণা পাবার জন্য, সাথে সাথে আগামী সংসদ ভোটে নিজেদের ভোট নিশ্চিত করার জন্য।
বিএনপি'র বিবৃতি ও সংবাদ সন্মেলনগুলো থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ যদি গণতান্ত্রিক পথে ভোট করে, বিএনপি জয়ী হবে; এ কথাটি আসলে আওয়ামী লীগকে বিএনপি ব্রান্ড গণতন্ত্র সম্পর্কে ভীত করে তোলে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের গণতণ্ত্র বিশ্বের গণতন্ত্রের মতো নয়, উনাদের নিজস্ব ব্রান্ড আছে।
কোন গণতান্ত্রিক ভোটের রায় নিয়ে শেখ সাহেবকে হত্যা করা করা হয়েছিল? কোন গণতান্ত্রিক পরিবেশে, কনভেনশন ডেকে বিএনপি গঠন করা হয়েছিল? বিএনপি'র গণতান্ত্রিক সরকার জর্জ মিয়াকে গ্রেনেড হত্যার জন্য জেলে রেখেছিল। সেই বিএনপি'কে জয়ী করার জন্য আওয়ামী লীগকে কি ধরণের গণতান্ত্রিক ভোটের ব্যবস্হা করতে হবে?
মনে হচ্ছে, যে ভোটে বিএনপি'র জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সেই ভোটে আওয়ামী লীগ যাবে না; হোক সে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, বা রাজতণ্ত্র; আওয়ামী লীগ নিশ্চয় নিজস্ব ব্রান্ড গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩০