কাশ্মীরের সামনে ৩টি উদাহরণ আছে: শিখস্তান, স্বাধীন আসাম ও বাংলাদেশ; বাংলাদেশ ৯ মাস যুদ্ধ করে স্বাধীনতা পেয়েছে; শিখস্তান বলতে কোন দেশ আর হবে না, ইন্দিরা গান্ধীর প্রাণ সংহার করাই ছিল তাদের একমাত্র প্রাপ্তি; স্বাধীন আসাম বলতে যা বুঝাবে তা হলো অসমীয়াদের দীর্ঘশ্বাস, আসামের বাংগালীদের স্বজন হারানোর মর্মান্তিক দু:খ। কাশ্মীর এখন যেভাবে আছে, এভাবে থাকবে, ৯৯ বছরেও নতুন কিছু ঘটবে না।
কাশ্মীমীদের আত্ম-ত্যাগ এই মহুর্তে তাদেরকে কিছু দেবে না; তাদের সামনে স্বর্ণ মন্দিরের উদাহরণ আছে; আছে উলফার ৭০ জন যোদ্ধার বাংলাদেশে আশ্রয়, অনুপ চেটিয়ার স্ত্রী ও বাচ্ছাদের ঢাকায় নিখোজ হওয়ার করুণ কাহিনীগুলো। এগুলোকে সামনে রেখে, সঠিক পথ খুঁজটে হবে।
১৯৪৭ সালের যুদ্ধই ছিল শেষ মীমাংসা, ভারতের হাতে যেটুকু কাশ্মীর আটকা পড়েছে, সেটা যুদ্ধ করে আর স্বাধীন হতে পারবে না; তাদেরকে স্বাধীন হতে হলে, একমাত্র শান্তিপুর্ণ উপায়ে স্বাধীন হতে হবে, ও পাকিস্তান শব্দটা ভুলে যেতে হবে।
১৯৭১ সালে বাংগালীরা নিজ দেশ স্বাধীন করার সময় কাশ্মীরের লোকদের হয়েও রক্ত দিয়েছে; পাক-ভারত শত্রুতার ১ নং কারণ হচ্ছে কাশ্মীর; কাশ্মীর সমস্যা এখন আর রাজনৈতিক নয়, এটা ভারত ও পাকিস্তানের মান-মর্যদার লড়াই; এ লড়াইয়ে কেহ হারতে চাহে না। বাংলাদেশ হওয়ার সময়, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভারতের কুটনৈতিক জয় হিসেবে ধরে নিয়ে, পাকিস্তানী জানোয়ারগুলো রাগ উড়ায়েছে বাংগালী জাতির উপর, সীমাহীন হত্যাকান্ড চালায়েছে জানোয়ারগুলো; আর এসবের শুরু ছিল কাশ্মীর থেকে।
কাশ্মীর লেখাপড়া ও উন্নয়নে ভয়ংকরভাবে পেছনে পড়ে গেছে; কাশ্মীরীদের উচিত, অস্ত্র ছেড়ে, হারিয়ে যাওয়া ৬৯ বছরকে উদ্ধার করা; নিজেদের মানুষকে ভারতের অন্য এলাকার চেয়েও বেশী শিক্ষিত করে তোলা; এতে ২০/৩০ বছর সময় লাগবে; এরপর শান্তিপুর্ণ উপায়ে স্বাধীনতা দাবী করা সম্ভব হতে পারে; এবং আগামী ৩০ বছরে বিশ্বে নতুন রাজনৈতিক চিন্তার উদ্ভব হবে, বা কমপক্ষে বর্তমান অবস্হা থেকে শান্তির দিকে অগ্রসর হবে মানুষ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫৭