আরবেরা ১০০ ট্রিলিয়ন ডলারের তেলের খনি দখল করার জন্য আইএস করেছে; প্রাকৃতিক কারণে ওরা হিংস্র; আধুনিক বিশ্বের জন্য বেকুব ও মগজহীন যোদ্ধা; ওরা গোত্রের বাহিরের কারো বাঁচার অধিকার আছে বলে মনে করে না। ইউরোপের চোর/ডাকাত আরবেরা টেকনোলোজী বুঝে, তারা ওখান থেকে পালিয়ে এসে আইএস করেছে আরবে; কমপকক্ষে ২ বছর টিকে আছে, বিলিয়ন ডলারের তেলের ব্যবসা করেছে ইতিমধ্যে, হাজার হাজার মানুষ মেরেছে।
ওদের দেখাদেখি বাংলার আগাছারা মনে করেছে যে, আইএস হওয়া বোধ হয় ফ্যাশান; এখানে তেল নেই, অফুরন্ত অস্ত্র নেই, সাঁজোয়া গাড়ী নেই; আছে ১৭ কোটী মানুষ, পালানোর জায়গা নেই, দখল করার মতো একটা ভিটাও নেই।
৪৫ বছরের জনসংখ্যার বিস্ফোরণ, নীচু মানের জীবন, জাতিকে শিক্ষা থেকে বন্চিত-করণ, সরকার ও প্রশাসনকে দলীয়করণ, মানুষের সম্পদ দখল, সব মিলে ভয়ানক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ সৃস্টি করাতে, জাতিতে প্রচুর মানুষ মানসিক অশান্তিতে ও চাপে আছে; আমাদের জাতীয় ঐক্য ১৭ কোটী ভাবে বিভক্ত হয়েছে।
সম্প্রতি সামান্য জংগী কার্যকলাপে জাতি ভয়ে কাঁপছে; কারণ, জাতির জানে যে, তাদের পাশে সরকারও নেই, প্রতিবেশীও নেই; কারো সাথে কারো ঐক্য নেই। অবশ্য সরকার এই ধরণের পরিবেশে চলতে দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে; এতে সরকারের সুবিধা হচ্ছে, জনতা সরকারের কাছে কিছু চাইবে না; শুধু বাঁচিয়ে রাখার আশ্বাস দিলেই চলবে।
যারা এগুলো করছে, সবাই তাদের চেনে, ওরা ১৯৪০ সাল থেকে ভুল পথে চলে আসছে, মানুষ মেরেছে বার বার; তারা বিজাতীর সাথে হাত মিলায়ে বারবার জাতিকে সংকটের মাঝে নিচ্ছে; এটার সমাধান হওয়ার দরকার।
যেসব কারণে মানুষের জীবনে হতাশা নেমে এসেছে, যেসব কারণে জাতি পড়ালেখায় পেছনে পড়েছে, যেসব কারণে বেকারত্ব বাড়ছে, যেসব কারণে ধনী-দরিদ্রের মাঝে দুরত্ব ভয়ানকভাবে বাড়ছে, যেসব কারণে মানুষ রাজনীতি থেকে সরে যাচ্ছে, সেসব কারণগুলোর দীর্ঘমেয়াদী সমাধান দিতে হবে সরকারকে।
যেসব বেকুবেরা আরবদের অনুসরণ করে আইএস'কে ফ্যাশান হিসেবে নিচ্ছে, যদি এখনই তা ত্যাগ না করে, তাদের সময় টিক টিক করছে। এইটা পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা সিরিয়া নয়; এদেশের মানুষ সবকিছুকে সঠিক পথে আনবে আবার।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪