আমাদের জাতীয়বাদী নেতা, শেখ সাহেব যা পড়ালেখা করেছিলেন, সেটা কলকাতায়; উনি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে প্রবেশ করেই বিপ্লবী হয়ে যান, উনি প্রেফতার হয়ে যান, জেলে যান; এরপরে শুরু হয় ভাষা আন্দোলন; উহার রেশ না ফুরাতেই আইয়ুব বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন; সবই হচ্ছিল আমাদের ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে।
১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল অবধি, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ও বুয়েট ছিলো ৬ দফা আন্দোলনের রাজধানী; মিটিং বক্তৃতা, হরতাল সব কিছু মিলিয়ে রেসকোর্স; পড়ালেখা কি হচ্ছিল কে জানে! ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রসব করলো ৪ খলীফা; এরা কি ছাত্র, না সুপার ছাত্র, নাকি জাতির সুপার রাজনীতিবিদ? এখন এসব খলীফা মলিফার ততকালীন কার্যক্রমকে বিশ্লেষণ করলে বুঝা যাবে যে, এরা ভুল যায়গায় ভুল কাজ করে বেড়ায়েছে; যা করার দরকার ছিল আওয়ামী লীগের অফিসে, রেসকোর্সে, উনারা সব করেছেন ইউনিভার্সিটিতে; উনারা পড়ালেখাকে ব্যাহত করেছেন, জাতির জন্য খারাপ করেছেন।
এখন ইউনিভার্সিটিগুলো ইসলামিক পন্ডিত প্রসব করিতেছে; সেদিন বুয়েটের এক ইন্জিনিয়ার আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন; আমেরিকায় মাস্টার্স করে, আটলান্টায় স্টেটের চাকুরী করছেন, সফটওয়ার ডেভেলোপমেন্টে ছিলেন, এখন ইন্টারনেট সিকিরিটিতে; অনেক ম্যানেজ করে, সময় করে ইসলামের পক্ষের শক্তিকে এক করার চেস্টা করছেন, বললেন।
উনার ধারনা, আমাদের দেশে যা ঘটছে, বিশ্বে যা ঘটছে, এরপরও বহু মতামতের মানুষ পাশাপাশি শান্তিপুর্ণভাবে বাস করতে পারবেন, যদি মদিনা সনদ কার্যকরী করে। আমাি জানতে চাইলাম, মদিনা সনদের কথা কি ইরানের পন্ডিতেরা জানে না, সৌদী ইমামেরা কি জানে না, তারা কেন এটম বোমা বানাচ্ছে? উনার যুক্তি হলো, সব সনদের, সব চুক্তির জন্য শক্তির দরকার হয়। সেটা হয়তো ভালো যুক্তি; তবে, মদীনা সনদকে কার্যকরী করতে হলে এটম বোমা থাকতে হবে সংগ্রহে, এটা আসলেই সবচেয়ে আধুনিক ধারনা হয়তো; এগুলো আমাদের বুয়েট ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে বের হচ্ছে! রাজশাহী ও চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি থেকে কি বের হচ্ছে, একমাত্র শফি হুজুর বলতে পারবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪৪