পিন্টু নিজের মামার রিকসা গ্যারেজ থেকে জীবন শুরু করে এমপি হয়েছিলেন বিএনপি'র; মির্জা আব্বাস গাড়ীর গ্যারেজ থেকে বিএনপি'তে গিয়ে পুর্ত ও ভুমি মন্ত্রী হয়েছিলেন, এখন ব্যাংকের মালিক; ফালু ঘাস কাটার ঠিকাদার থেকে বাংলাদেশের বুকে আমেরিকান ডলারে বিলিওনিয়ার; আলাদিনের আর্শ্চয্য প্রদ্বীপ ছিল বিএনপি'র কাছে। আজ, প্রদ্বীপটি আলাদিনের কাছ থেকে আসল যাদুকর কেড়ে নিয়েছে: আমাদের ইউনিয়নে রিকসা ড্রাইবারের ছেলে এখন চেয়ারম্যান, নাম লিখতে পারে না; ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ভোট করেছিল, পরে সারের ডিলারশীপ পেয়েছিলো। আওয়ামী লীগের কে এখন কি, এটা লিখতে গেলে কম্প্যুটারের হার্ড-ড্রাইভ কাঁদতে থাকবে।
যারা ১৯৬৯ সালে রিকসা চালাতো, তারা ভেবেছিল যে, ৬ দফাই আলাদিনের প্রদ্বীপ, যা সব বাংগালীকে আলাদিন বানাবে; ওদের মাঝে অনেকজন ৬৫ বছর বয়সে এখনো রিকসা চালায়, তাদের ছেলেরা চালায়, নাতিরা চালায়; এরা কখনো প্রিন্স হয়নি, এরা কখনো হকার হয়নি। যারা বিএনপি ও আওয়ামী লীগ করেছে, তারা প্রিন্স হয়ে যায়, কখনো মাঝে মাঝে ২/১ জন রিকসা চালায়, হকার হয়; এ হলো, আওয়ামী ও বিএনপি-জামাতের রাজনীতি। আমাদের বংগবীর কাদের সিদ্দিকীও রিকসা চালায়েছে জীবনে, তারপর টাংগাইলের অর্ধেক দখল করে রাজা হয়েগিয়েছিল।
আজকে কোথায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে ফখরুল কাঁদলো তার নিজের প্রিন্সদের জন্য, উনার প্রিন্সেরা গ্রাম থেকে পালিয়ে ঢাকা এসে রিকসা চালাচ্ছে, হকারী করে টিকে থাকার চেস্টা করছে; এদের জন্য উনার চোখে পানি আসলো; আর যারা ৩ গোস্ঠী ধরে রিকসা চালচ্ছে, যারা একদিনের জন্যও প্রিন্স হতে পারেনি, তাদের জন্য কোনদিন কান্নার সুযোগ পায়নি, জনাব মির্জা সাহেব; সবকিছুতে এরা জাতির জন্য কথা বলে, কিন্তু কাঁদে কয়েক'শ বা কয়েক হাজারের জন্য, বাকী কয়েক কোটীর জন্য এক ফোটা চোখের পানি এদের ঝরলো না জীবনে একবারও; এরা ক্রিমিনাল, এরা রাজনীতিবিদ নন, এদের স্হান জেলে হওয়া উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭