বাংলাদেশে, কোন ব্যাপারে, আপনি যে কোন ধরণের স্টেইটমেন্ট দেন না কেন, আপনার আশপাশ থেকে তার বিপক্ষে, বা কমপক্ষে সেই স্টেইটমেন্টের সম্পুরক ধরণের হলেও একটা স্টেইটমেন্ট আসবে; ২ জন বাংগালী নিউটেনের ৩য় সুত্র নিয়েও একমত হতে পারার কথা নয়, যদিও ২ জনেই অংকের মাধ্যমে প্রমাণ করবেন যে, নিউটন সঠিক ছিলেন।
বাংলাদেশের টেলিভিশনে টক-শো গুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছে বেশ; সেখানে ডিবেইট হয়। বাংলাদেশের স্কুল থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি অবধি ডিবেইট অনুস্ঠান ও প্রযোগিতা হয়ে থাকে, এটা ভালো; কিশোর বয়স থেকে কিছু হলেও লজিক্যালী তর্ক করা শিখে। তবে, বাংলাদেশের টক-শো গুলোতে সক্রেটিস বা বারট্রান্ড রাসেলের লজিক ব্যবহার হয় না, উনারা লোকেল লজিক ব্যবহার করেন, তালগাছের লজিক।
আপনি যদি কোনভাবেই ডিবেইট পছন্দ করেন, তাহলে, আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ইলেকশানের ডিবেইট আপনার পছন্দ হবে; কারণ, নির্বাচনের আগে ক্যান্ডিডেটেরা দেশের রাজনৈতিক এজন্ডাগুলোর উপর নিজের অবস্হান, সেগুলো কার্যকরীর রোড-ম্যাপ নিয়ে আলাপ করেন।
এবারের আমেরিকান নির্বাচনটা একটু আলাদা, ২ জন দুর্বল ক্যান্ডিডেটের প্রতিযোগীতা হচ্ছে, যেখানে ১ জন আবার প্রফেশানেল রাজনীতিবিদ নন। তবুও আমেরিকান নিয়মানুসারে সবকিছু এগুচ্ছে; সেই অনুসারে ২৬ শে সেপ্টেম্বর অনিস্ঠিত হচ্ছে ১ম ডিবেইট।
হিলারী ক্লিনটনকে অনেকেই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে; উনার আগের ইতিহাস ডিবেইটার হিসেবে ভালো নয়, এবারের প্রাইমারীতে প্রায় প্রতি ডিবেইটে উনি বার্ণি সেন্ডার্সের কাছে পরাজিত হয়েছেন; কিন্তু আমেরিকা আধা সোস্যালিস্ট বার্ণিকে মেনে নেয়ার অবস্হানে নেই। এদিকে ট্রাম্প মোটামুটি প্রস্তুতি নিচ্ছে না, সে মনে করে যে, ডিবেইট হলো 'কমনসেন্সের' ব্যাপার, সাথে সাথে প্রশ্ন ও ব্যক্তিগত বিশ্বাসই যথেস্ট। অবশ্য, প্রাইমারীর ডিবেইটে ট্রাম্প নাম-করা সিনেটর ও গভর্ণরদের তুলা-ধুনো করে বাতাসে উড়ায়ে দিয়েছে অরাজনৈতিক ভাষায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০১