সুযোগ পেলেই মানুষ বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে; এর পেছনে অনেক কারণ, বাংলাদেশে শিক্ষা ও চাকুরীতে সুযোগের অভাব, চাকুরীর আয়ে চলা মুশকিল, চাকুরীতে শান্তি নেই, বাচ্চাদের পড়ালেখার সুযোগ কম, খরচ বেশী, সিকিউরিটি নেই, জীবনের মুল্য নেই, রাজনৈতিক অস্হিরতা, চিকিৎসার কোন নিশ্চয়তা নেই, চিকিৎসায় আস্হা নেই, চিকিৎসার পয়সা নেই; ক্যান্সার হলে, প্রফেসারেরাও ভিক্ষা করতে বাধ্য হয়, সরকার ও প্রশাসনের উপর আস্হা নেই, আরো হাজারো কারণ।
আবার উল্টোটা দেখুন, সজীব ওয়াজেদ জয় ফেরত এসেছে, পতুল ও তার স্বামী কানাডায় বাড়ীঘর ফেলে চলে এসেছে; তারেক ফেরার জন্য অপেক্ষা করছে, তারেকের সমর্থকেরা চায় ফিরে আসুক; ড: এমাজুদ্দিন ফুল কিনে এয়ারপোর্টে বসে বসে তারেকের বই পড়ছেন; বেচারা কোকোও ফেরত আসতে চেয়েছিল; মুহিতের ছোট ভাই একটা কি যেন নাম না, ড: ড: কি? উনি ফেরত এসেছেন, সুযোগ পেলে মেয়র খোকা ফেরত আসবেন!
ব্লগে, গতকাল এক ব্লগার পোস্ট দিয়েছেন, উনি কানাডায় ইমিগ্রশন পেয়েছেন, মিস্টি ইত্যাদির ছবি দিয়ে পোস্ট দিয়েছেন; পোস্ট আলোচিত পোস্টে পরিণত হয়েছে; অনেক ব্লগার শুভেচ্ছা, অভিনন্দন জানাচ্ছেন; আমি মন্তব্য করেছি, কিন্তু অভিনন্দন জানাতে পারিনি; কারণ, আমাকে কাজের জন্য দীর্ঘদিন বিদেশে থাকতে হয়েছে, আমি অনেককিছু দেখেছি, অনেক কিছু দেখছি; যিনি ইমিগ্রেশন পেয়েছেন, উনি শুখী হোক, এটাই চাই; পৃথিবী মানে শুধু বাংলাদেশ নয়।
আবার অনেকের কাছে বাংলাদেশই বড়; সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় কেহ চিনতো না, এখন সে বাংলাদেশের 'একমাত্র কম্প্যুটার বিজ্ঞানী', দেশকে ডিজিটাল করে ফেলেছে; সকাল বিকেল কিসব পুরস্কার পাচ্ছে; মা পিএইডি, ছেলে বিজ্ঞানী; কিশোর কিশোরী থেকে সবাই পর্ণ দেখছে, ফলে ইয়াবার ছাহিদা বেড়ে গেছে!
নিউইয়র্কের কুইন্সে ৩০/৪০ ভাগ বাংগালীর পরিবার ভেংগে গেছে; বউ ফেলে কেহ কেহ স্পেনিশ মেয়ের সাথে থাকছে; কারো কারো মেয়ে বয় ফ্রেন্ড নিয়ে থাকছে, এতে পরিবারের শান্তি নেই; ঢাকা ও চিটাগং ইউনিভার্সিটির অনেক গ্রাজুয়েট ট্যাক্সি চালাচ্ছে! ফলে, কানাডা ও আমেরিকা ওকে, কিন্তু সোজাসুজি স্বর্গ নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:১৩