মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাংগালী প্রাণ হারায়েছেন; এই ৩০ লাখ মানুষ কি কোন অনাথ ছেলেমেয়ে শিশু রেখে গিয়েছিলেন? পরিবারের আয়ের ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন কি পরিমাণ পরিবারে? এটি সঠিক যে, পুরুষের তুলনায় মহিলারা কম প্রাণ হারায়েছিলেন; এর অর্থ হলো, আয়হীন বিধবা মা'দের সংখ্যা ছিল বিশাল; তাজুদ্দিন সাহেবের সরকার এসব অনাথ ও পিতৃরহারা পরিবারদের জন্য কোন কিছু কোনদিন ঘোষণা করেননি; এই পরিবারগুলো ছিল জাতির জন্য খুবই ঘনিস্ট পরিবার।
মহিলাদের উপর নির্যাতনকে মেনে না নিয়ে, বহু বুদ্ধিহীন মানুষ নিজের স্ত্রীকে ত্যাগ করেছে; একজন মহিলার জন্য সেই সময়ে এটা ছিল মৃত্যু থেকে বেশী; এসব মহিলাদের কেহ কেহ বাবার বাড়ীতে ফিরে গেছেন; কিন্তু সরকার এদের সঠিভাবে পুর্নবাসন করার জন্য কোন কিছু ঘোষণা দেয়নি।
যাঁরা স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ে প্রাণ হারায়েছিলেন, তাঁদের পরিবারকে সাহয্য, সহয়তা করার দায়িত্ব সারা জাতির নেয়ার কথা ছিল, মানে সরকার নেয়ার কথা ছিল; কিন্তু সরকার সেই দায়িত্ব নেয়নি; এই পরিবারগুলো স্বাধীনতার কারণে পিছিয়ে গেছে; এটাই কি এদের প্রাপ্য ছিল?
প্রশাসনের লোকেরা মোটামুটি প্রাণ হারাননি বললেই চলে; ফলে, প্রশাসন মোটামুটি চুপ ছিল।
ব্লগে অনেকেই বিশ্বাস করেছেন যে, যুদ্ধের পর, আমরা একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পেয়েছি, রাজকোষ শুন্য ছিল; এগুলো ফাইন্যানসিয়েল দিক থেকে ভুল ধারণা; ব্যক্তিগত ফাইন্যান্স ও রাস্ট্রীয় ফাইন্যান্সে "ক্যাশ" একই অর্থ বহন করে না; দেশে সম্পদের অভাব ছিলো না।
আজকে জাতীর অবস্হা ভালো; ৪৬ বছর আগে যাদের পরিবারের আয়ের মানুষটি জাতির স্বাধীনতার কারণে প্রাণ দিয়েছিলেন, এবং সেই পরিবার যদি, সেই কারণে পিছিয়ে পড়ে থাকে, আজকেও সেই পরিবারকে সাহায্য করা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৪০