আরবের ব্রাদারহুড, পাক ভারতের জামাত ক্রমেই অভিশপ্ত মানবগোস্ঠীতে পরিণত হচ্ছে; ওরা মানুষের জন্য ভালো চাইলে, মানুষ তা পছন্দ করে না, মানুষ তাদের সন্দেহ করে, মানুষ তাদের এড়িয়ে চলতে চায়। রোহিংগাদের জন্য সহানুভুতি নিয়ে জামাত ও শিবির অনলাইনে সবার চেয়ে বেশী লেখালেখি করেছে, এবং তাতে মনে হয়, কিছুটা অতিরন্জন করা হয়েছে; এই অতিরন্জন মানুষকে খুশী করেনি।
অথচ ১৯৭১ সালে, রেডিও বাংলাদেশ যখন বাংগালীদের পক্ষে কিছু অতিরন্জ করতো, এবং মানুষ বুঝতো যে, এটা অতিরন্জ, মানুষ সেটাকে গ্রহন করতো; কিন্তু রোহিংগাদের পক্ষে জামাত-শিবিরের অতিরন্জ মানুষ গ্রহন করছে না; এতে বরং মানুষ সমালোচনা করছে; এতে রোহিংগাদের প্রতি মানুষ সহানুভুতিতে ভাটা পড়েছে।
জামাত-শিবির ও কিছু অদক্ষ ব্লগার রোহিংগাদের 'মুসলিম' হিসেবে বেশী ফোকাস করেছে; অথচ রোহিংগারা চট্টগ্রামী ও আদি বাংগালী, এবং এই পরিচয়ই বড় পরিচয়। রোহিংগারা যখন আসে, তারা চট্টগ্রামেই আসে, এবং চট্টগ্রামের বাহিরে যেতে চাহে না।
জামাতীদের ৭৮ বছরের রাজনৈতিক সফলতার ইতিহাস ভয়ংকর; এরা স্বর্ণ স্পর্শ করলে উহা ধুলাবালিতে পরিণত হয়; এরা মানুষকে সালাম করলে মানুষ এদের থেকে দুরে সরে দাঁড়ানোর চেস্টা করে; ফলে, রোহিংগাদের জন্য এদের সহানুভুতি শুধুমাত্র অভিশাপে পরিণত হয়েছে; অনেকেই সন্দেহ করছে যে, জামাতীরা নিজেদের দল ভারী করার চেস্টা করছে; ফলে, রোহিংগা সমস্যার কথা চাপা পড়ে জামাত সমসয়া সামনে আসছে।
শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক রোহিংগা-বিষয়ক মন্তব্যগুলো সত্যই দু:খজনক; সাহায্য না করতে পার, চুপ থাক, রোহিংগাদের সন্ত্রাসী মন্ত্রাসী, দুস্কৃতিকারী, চোরা-কারবারী, ডাকাত বলার কি দরকার? সব রোহিংগা মিলেও একজন সেক্রেটারীর সমান চুরি করতে পারবে না; সব রোহিংগা মিলেও সোনালী ব্যাংক থেকে হল-মার্কের সমান টাকা নিয়ে যেতে পারবে না; সব রোহিংগা মিলেও বসুন্ধরার সমান জমি দখল করতে পারবে না।
শেখ হাসিনার এই অসহানুভুতির পেছনেও জামাত-শিবিরের প্রভাব থাকতে পারে; ঐহিহাসিক কারণে, শেখ হাসিনা জামাতীদের যেকোন কার্যকলাপকেই সন্দেহ করে; রোহিংগাদের প্রতি জামাত-শিবিরে অতি সহানুভুতি ও অতিরন্জন শেখ হাসিনাকে বিরক্ত ও সন্দেহ-প্রবন করার জন্য যথেস্ট।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৯