স্কুলে যাওয়া একটা শিশু বই থেকে কি কি শিখবে, বইতে শিশুর মানসিক উন্নয়ন ও জ্ঞান পরিবর্ধনের জন্য কি কি বিষয়, কোন বয়সে কতটুকু গভীর থাকবে, সেটা নির্ণয় করবেন গুণী শিক্ষক ও শিক্ষা বিষয়ে গবেষণারত পিএইচডি'রা। শিশুদের বই নিয়ে আমাদের অনেক ব্লগার গত কিছুদিন ভীষন কস্টে আছেন, তাঁরা চান, শিশুরা তাঁদের সুচিন্তিত সিলেবাস অনুসারে পড়ুক; বই গুলোতে উনাদের পছন্দ বিষয়ে, উনার পছন্দের লেখকদের লেখা থাকুক।
যারা স্কুলে পড়ার সুযোগ পায় না, তাদের জন্য কোন লেখকের কি দিয়ে, কি বই ছাপানো দরকার, সেটা নিয়ে উনারা এখনো গবেষণা করছেন, মুখ খোলেননি।
শিশুরা প্রথমে মা, পরে পরিবার ও চারিপাশের পরিবেশ থেকে শেখা শুরু করে; তৃতীয় বিশ্বের একাংশ শিশু স্কুলে শিক্ষকদের কাছে পড়ার সুযোগ পায় মাত্র, তারা বই পড়ার সুযোগ পায়; বাকীরা বন্চিত হয়ে, সমাজ ও প্রকৃতি থেকে শিখতে থাকে।
আমাদের সমস্যা বইতে কি আছে সেটা নয়, পুরো বিশ্বের সমস্যা হচ্ছে, কিছু লোকের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে,"আজো প্রতিটি শিশু স্কুলে যাবার সুযোগ পাচ্ছে না"।
অবশ্য কোন ব্লগার এখনো নিজের কোন লেখাকে বইতে যোগ করার দাবী জানায়নি; আমি সেই সুযোগটা নিতে চাই; আমি চাই, আমার পোস্টগুলো স্কুলের সব বইতে যোগ করা হোক; বাচ্ছারা আমার নিকটা জানবে ও প্রোপিক দেখে খুশী হবে।
বই ও পড়া নিয়ে আমাদের গুণী শিক্ষকেরা ভাবুক, আমাদের পিএইচডি'রা ভাবুক; তারা না পারলে আমরা শিক্ষিত জাতিগুলোকে অনুসরণ করবো। বর্তমান বিশ্বে চীন, কোরিয়া, সিংগাপুর, ইউরোপ শিক্ষায় সবার সামনে আছে; আমরা তাদের বই অনুসরণ করে, আমাদের সংস্কৃতি অনুসারে সাজিয়ে নেবো। আসলে, চীন, কোরিয়া ও সিংগাপুর জার্মানীকে অনুসরণ করেছিল প্রথম দিকে, এখন তারা ইউরোপ থেকেও ভালো করছে।
একটা শিশু, দৈনিক গড়ে ৫/৬ ঘন্টা স্কুলে থেকে বই থেকে কি শিখবে, বইতে কি থাকা উচিত, সেটা নিয়ে সবাই ভাবতে পারেন, বলতে পারেন; কিন্তু নির্ধারণ করবেন গুণী শিক্ষকেরা ও শিক্ষা-গবেষণারত পিএইচডিরা।
ব্লগে, আমি শিক্ষা বিষয়ক হাজার হাজার পোস্ট পড়েছি, ৯০% ছিল পংগু পোস্ট।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৭