আগামীকাল, শুক্রবার ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা দেয়ার উদ্ভোধনী অনুস্ঠান; আজকের জরীপে, তার জনপ্রিয়তা ৩৮%, ওবামা ৮৪% জনপ্রিয়তা নিয়ে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেছিলেন, ৬২% জনপ্রিয়তা নিয়ে বের হচ্ছেন।
জনপ্রিয়তা কমলে অসুবিধা আছে? হ্যাঁ, অনেক অসুবিধা, কংগ্রেস ও প্রশাসন প্রেসিডেন্টকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী কাজ করার শুরু করবে, প্রেসিডেন্টের এজেন্ডাগুলো কার্যকরী হবে না , রাজ্য সরকারগুলো ফেডারেলকে পাত্তা দেবে না। অথবা অবস্হা শেখ সাহেবের মতো হয়ে যেতে পারে।
কি কি কারণে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমছে?
ট্রাম্প যাদের কেবিনেট মন্ত্রী পদে মনোয়ান দিয়েছেন, এরা প্রায় সবাই বিতর্কিত, ট্রাম্পের কেবিনেট মন্ত্রীদের মাঝে ১ জন ব্যতিত সবাই বিলিওনিয়ার, যিনি বিলিওনিয়ার নন, উনি মিলিওনিয়ার; এবং অর্ধেক হচ্ছে প্রাক্তন জেনারেল। আপনারা জানেন যে, ইহা ফাইনাল নিযুক্তি নহে; সিনেট ও এফবিআই এইসব কেন্ডিডেটদের ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখবে, তারপর শুনানী হবে সামনাসামনি; সিনেট সন্তুস্ট হলে মিনিস্টারেরা ফাইনাল নিযুক্তি পাবেন; এটা সঠিক গণতান্ত্রিক পথ। এখন শুনানী চলছে। যেই লোক 'গ্লোবেল ওয়ার্মিং" বিশ্বাসীদের বিপক্ষে ৪ বার মামলা করেছে, সেইজন পরিবেশ মন্ত্রী হওয়ার জন্য মনোয়ন পেয়েছে। যেইজন শিক্ষাকে "প্রাইভেটাইজেশন" করার পক্ষে, উহাকে শিক্ষামন্ত্রীর মনোয়ন দেয়া হয়েছে। বাকীগুলোরও অবস্হা কাছাকাছি।
আরেক কারণ হচ্ছে, ভোটের সময়ের হ্যাকিং নিয়ে, ট্রাম্প পুটিনকে দায়ী করার বিপক্ষে ছিল; গত সপ্তাহে ট্রাম্পের সাথে এই নিয়ে "সিআইএ ও এফবিআই"এর বৈঠক হয়েছে; বৈঠক শেষে উনি বলেছেন, আমেরিকার ইনটেলিজেন্সে বুদ্ধিমানের চেয়ে বোকাদের সংখ্যা বেশী।
অন্য একটা কারণ হতে পারে, ট্রাম্প জার্মানীর মার্কেলকে "আরবী রিফিউজি" নেয়ার জন্য দোষারোপ করেছে, সে বলেছে, মার্কেল পুরো ইউরোপ ও আমেরিকাকে বিপদের মাঝে ঠেলে দিয়েছে। এ ছাড়া "ন্যাটো" নিয়ে বলেছে, ন্যাটো কাগজে-পত্রে আছে, বাস্তবতা যেটুকু, তা হলো আমেরিকা টাকা দিয়ে যাচ্ছে।
একটা ছোট কারণ হচ্ছে, নির্বাচনের পর, সে ঘোড়া ডিংগিয়ে ঘাস খেয়েছে কয়েকবার, সে নাতেনিয়াহুর সাথে কথা বলে জাতি সংঘের ভোট ১ দিনের জন্য পেছনে নিয়েছিল, তাইওয়ানকে চীনের বিপক্ষে অভয় দিয়েছে।
সবচেয়ে বড় কারণ হয়তো, ট্রাম্প বলেছে, নির্বাচনের সময় যত এজেন্ডার কথা বলা হয়েছে, বাস্তবে সবগুলো কার্যকর করা সম্ভব হয়তো হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪১