আজকে থেকে ট্রাম্পের অভিষেক অনুস্টান শুরু হয়েছে; আজ ট্রাম্প জাতীয় কবরস্হানে নিহত সৈনিকদের কবরে ফুল দিয়েছেন ও লিংকন মেমোরিয়েলে 'কনসার্টে' উপস্হিত থেকেছেন; কনসার্টে দেশের নামী দামীরা গান গেয়েছেন, ৫ হাজার মানুষ অনুস্ঠানে উপস্হিত ছিলেন, এদের মাঝে অনেকেই খুবই সাধারণ মানুষ ছিলেন; অনুস্ঠানের বাহিরে আরও ১০ হাজার মানুষ উপস্হিত ছিলেন।
এই শীতের মাঝে ২ ঘন্টারও বেশী সময় মানুষ উপস্হিত থেকে এই মহেন্দ্রক্ষণকে উপভোগ করেছেন; ভেতরে বাহিরে মানুষের চোখে মুখ যে আনন্দ, আশা ও উৎসাহ, তা বিশ্বের অনেক জাতির ভাগ্যে ঘটে না; সেসব জাতির মাঝে আমাদের স্হান সবার উপরে হয়তো।
এ ধরণের আনন্দ আমি দেখেছিলাম ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরে ও ১০ই জানুয়ারীতে। কিন্তু ১২ জানুয়ারীতে যখন শেখ সাহেব শপথ নিলেন সাধারণ মানুষ থেকে কেহকে নিমন্ত্রণ করেননি; মানুষ আনন্দিত হওয়ার, উনাকে উৎসাহিত করার সুযোগও পায়নি।
শেখ সাহেবের পর, অনেকেই শপথ নিয়েছেন, মানুষকে আমি কোনদিন হাসিমুখে দেখিনি; মানুষকে চিন্তিত, ভীত মনে হয়েছে; কখনো উৎসাহিত মনে হয়নি। অবশ্য কিছু লোক অস্বাভাবিকভাবে খুশী হয়ে থাকে আমাদের অনেক জাতীয় অনুস্ঠানে; এসব লোক এত উৎসাহ দেখায় যে, বাকীরা এদের ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে।
ভোটের রেজাল্টের পর, হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বারবার আমাদের দেশে; এদের অনেকেই দীর্ঘ সময় নিজ পরিবারের কাছে ফিরতে পারেনি।
খোন্দকার মোস্তাক, জেনারে জিয়া, জেনারেল এরশাদ, বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনার শপথের সময় অনেক নিজ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে; এগুলো স্মরণ করে, ও ট্রাম্পের মতো লোকের অনুস্ঠানে হাজার হাজার মানুষকে খুশী, আশাবাদী ও উৎসাহিত দেখে হিংসায় গা জ্বলে গেছে আমার।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২৯