আমেরিকার ২ রাজনৈতিক দল, মিডিয়া ও বেশীর ভাগ সাধারণ মানুষ ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চাহেনি; ইউরোপও আমেরিকানদের সাথে তাল মিলিয়ে ট্রাম্পের বিপক্ষেই অবস্হান নিয়েছিল। ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায়, বিশ্বের অনেক দেশই নড়েচড়ে বসেছে; তাদের মধ্যে অন্যতম হলো চীন, রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়া। চীন ও রাশিয়াকে আগামী ৪, কিংবা ৮ বছর এই লোকের প্রশাসনের সাথে চলতে হবে; তারা ট্রাম্পকে বাজিয়ে দেখছে। এদের সাথে যোগ দিয়েছে কোরিয়া ও ইরান; এই ২ দেশ জানে যে, ট্রাম্পের সাথে তাদের বিতন্ডা হবেই হবে; তাই, তারা ট্রাম্প ক্ষমতায় ঝেঁকে বসার আগে একটু নিরীক্ষা করে দেখেছে, ২ দেশই বেলাস্টিক মিসাইল টেস্ট করেছে সেই উদ্দেশ্য; তবে, সুবিধে হয়নি!
নিরীক্ষার ফলাফল ভালো নয়, বলতে হবে; দৃশ্যত:, ট্রাম্প বড় ধরণের কোন রিএ্যাকশান দেখায়নি, এটা খারাপ লক্ষণ; ট্রাম্প বড় ধরণের কিছুর জন্য প্রস্তুতি নেয়ার জন্য সময় নিচ্ছ মনে হচ্ছে; এবং যখন উত্তর দেবে, সেটা হবে বিশ্বের জন্যও ভয়ানক।
মনে হচ্ছে, ট্রাম্প হাঁকডাক করে দুনিয়া কাঁপাবে না; বিশ্ববাসীকে কিছু না বলেই ব্যবস্হা নিয়ে বসবে হঠাৎ করে; ন্যাটোর সদস্যদের বাহিরে কেহ কিছু জানবে না। বিশ্ব হয়তো আচমকা জানবে; এতে ভয়ংকর ভয় ও বিশৃংখলা সৃস্টি হতে পারে বিশ্বময়; এবং এর ফলে সারা বিশ্ব হয়তো থমকে দাঁড়াবে, ব্যবসা বাণিজ্য, যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে; এতে বিশ্বের দরিদ্র দেশসমুহে দারিদ্রতা বেড়ে যাবে; বিশেষ করে ৩য় বিশ্বযুদ্ধের ভয়ে কর্পোরেশনগুলো তাদের অপারেশন গুটায়ে নেয়ার চেস্টা করবে।
উত্তর কোরিয়া সমস্যা সমাধানের সঠিক পথ হবে কিম পরিবারকে ক্ষমতাচ্যুত করে, সেখানকার মিলিটারী সরকারকে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে যোগ দিয়ে সাধারণ জীবনে যোগ দিতে সাহায্য করা।
ইরানের সমস্যা বেশ কঠিন, সরকার সাধারণ মানুষকে শিয়া মতবাদের সৈনিকে পরিণত করেছে; সাধারণ মানুষই বিশ্বাস করে যে, মিডল ইস্টে তারাই সুপার জাতি, শিয়া মতবাদই বিশ্বের সেরা মতবাদ, আমেরিকা হলো বড় শয়তান, ইজরায়েল বড় শয়তানের মগজ, এটম বোমা হলো বড় শয়তানকে দুরে রাখার জন্য লম্বা লাঠি।
ইরান কিভাবে মিডল-ইস্টকে অশান্ত করে রেখেছে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে না। আবার আমেরিকা তেলের প্রবাহ ঠিক রাখতে গিয়ে মিডল ইস্টের বেলায় সভ্যতার কোন নিয়ম কানুন না মেনেই ব্যবসা ও যুদ্ধ চালিয়ে গেছে, যার ফলে আমেরিকা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ভালো ধারণা নেই; কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, মানুষকে তাই নিয়েই বাঁচতে হবে; কারণ, তাদের সরকারগুলো তাদেরকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে দেয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৭