বিএনপি'কে যখন কানাডার আদালত সন্ত্রাসী বলছে, তখন জামাত, হেফাজত, বিকল্প মিকল্প, জাসদ মাসদের অবস্হা কি? সেগুলোকে বাদ দেন, কানাডার আদালতের চোখে আওয়ামী লীগের কি অবস্হা হবে? ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি দেশের বড় দল ছিলো; অনেকে বলছেন, নিরপেক্ষ ভোট দিলে আজও বিএনপি জয়ী হবে; তা'হলে সন্ত্রাসী সংগঠনকে ভোট দিয়ে যারা জয়ী করার সম্ভাবনা, তারা কি ধরণের লোক? উত্তর হবে, সন্ত্রাসী। তা'হলে বাংগালীদের বিরাট সংখ্যা কানাডিয়ানদের চোখে সন্ত্রাসী ব্যতিত কেহ নন; বিদেশীরা এভাবেই মুল্যায়ন করেন আমাদের রাজনীতিকে।
আসলে, গত চেয়ারম্যান ভোটে যেভাবে ভোট দেয়া হয়েছে, তা যদি কানাডার বিচারকদের সামনে আনা হয়, তারা আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ডাকবে, কখনো রাজনৈতিক দল ডাকবে না। আওয়ামী লীগকে দেশের বড় অংশ ভোট দিয়েছে; এরাও সন্ত্রাসী মনের দলে পড়বে। আওয়ামীদের সাথে কিছু জামাতীও চেয়ারম্যান হয়েছে, এদেরকে কাহারা ভোট দিয়েছে?
বিএনপি ও আওয়ামী ভোটারা দেশের ৯৫% ভোটার; কানাডার আদালতের চোখে, এরা সন্ত্রাসী মনের মানুষ, কমপক্ষে সন্ত্রাসী সংগঠনকে ভোট দেয়। পুরো জাতির অবস্হা দেখছেন?
যাক, আমরা কানাডার মানুসের মতো অত সৎ নই; তবে, আমরা সবাই সন্ত্রাসীও নই, সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসী হয় না; কিন্তু সাধারণ মানুষের উপর সরকার ও রাজনৈতিক দলদের বিশাল প্রভাব আছে;সরকার ওরাজনৈতিক দলগুলো জাতিকে ভালো, কিংবা ভুল পথে নিয়ে যেতে পারে, জাতিকে শিক্ষিত করতে পারে, বা ভেঁড়া বানিয়ে রাখতে পারে; এরা জাতিকে জার্মানদের মত ধুলাবালিতে পারিণত করতে পারে, এরা জাতিকে ইরানীদের মত ফানাটিকে পরিণত করতে পারে।
বিএনপি'র কোন এক সন্ত্রাসী কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে গিয়ে, বিএনপি'কে কানাডার বিচারকদের সামনে এসেছে; শামীম ওসমান, ড: হাছান যদি কানাডার আদালতে উঠে, আমরা আওয়ামী লীগের অবস্হা বুঝতে পারবো; জামাত ও হেফাজতের কাউকে কানাডার আদালতে দেখলে, বিচারক ভয়ে হয়তো পেছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২