আজকে সোমালিয়া ও দক্ষিণ সুদানে দুর্ভিক্ষ হচ্ছে; কিছু বাচ্চা মারাও গেছে, পুস্টিহীনতায় ভুগছে অনেক শিশু; দেশগুলোর সরকার ও জাতি সংঘ সবার কাছে হাত পাতছে! আশাকরি, সাময়িক সমাধান হবে; তারপর ২/৩ বছর পর, আবার একই অবস্হা ফিরে আসবে! সমস্যা কোথায়? সমস্যা হলো সরকারে, সরকারই চায় যে, কিছুটা দুর্ভিক্ষ হোক, ফ্রান্সের সাংবাদিকরা ছবি তুলে ইউরোপীয় মিডিয়ায় দেক; তারপর, সাহায্য আসতে থাকবে।
আমাদের দেশে গত কয়েক বছর বড় ধরণের ঘুর্ণিঝড় হচ্ছে না; আমাদের ব্যুরোক্রেটদের মন হয়তো খারাপ; এমন কি উপকুলের রাজনৈতিক ক্যাডাররাও হয়তো সৌভাগ্যকে গালি দিচ্ছে!
দুর্ভিক্ষ একদিনে আসে না; আবার আফ্রিকার দুর্ভিক্ষ কখনো ছুটি নেয় না; আজ সোামলিয়ায়, কাল ইথিওপিয়ায়, পরেদিন কংগো, কিংবা সিয়েররা-লিওনে। আফ্রিকানরা কি আগামী ২/৩ বছরের অবস্হা অনুমান করার মতো মগজ পায়নি; নাকি গরিলার মতো প্রতি বেলার খাবার নিয়ে ভাবে শুধু? আফ্রিকার সমস্যা হলো, এমনিতে ওরা কিছুটা অলস, তদুপরি ওরা ভয়ংকর স্বার্থপর, চোখের সামনে খাবার অভাবে বাচ্চা মরে গেলেও, এক ফোঁটা খাবার দেবে না, নিজে বসে ছাগলের ঠ্যাং চিবাবে।
আফ্রিকার সবচেয়ে দরি্দ্র দেশের সরকারের লোকদেরও লন্ডনে, ফ্রান্সে, নিউইয়র্কে বাড়ী আছে, ছেলেমেয়ে ওখানে পড়ে, সপ্তাহ শেষে আফ্রিকায় বেড়াতে আসে উড়োজাহাজে।
দক্ষিণ সুদান বাংলাদেশ থেকে ৪ গুণ বড়, লোক সংখ্যা ১ কোটী ২৫ লাখ; সোমালিয়াও বাংলাদেশ থেকে ৪ গুণ বড়, মানুষ হচ্ছে ১ কোটী ৮ লাখ, ঢাকার অর্ধেক। এদের খাবার মতো খাদ্য কেন উৎপন্ন করতে পারে না? আজকাল বানরও বোধ হয় উপবাস থাকে না।
বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ এদের সাহায্য করে, ইউরোপ সব সময় এদের সাহায্য করে; কিন্তু এরা নিজেরা কিছুই করে না; বর্তমানে শুধু পশু পালন করে, গাছ লাগিয়ে এরা বিশ্বের ধনী দেশ হতে পারতো; কিন্তু ক্যাপিটেল সরকারী লোকদের হাতে আটকা পড়ে আছে, পড়ালেখা শিখায় না; সরকারের লোকেরা বছরের বিরাট সময় ইউরোপ ইত্যাদি দেশে গিয়ে সময় কাটায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২০