ওবামা জীবিকার জন্য রাজনীতি করেননি, উনি জীবিকার জন্য আইন ব্যবসায় ছিলেন, রাজনীতি ছিল উনার জীবনের আদর্শের প্রতিফলন; ক্লিনটন, বুশ, টনি ব্লেয়ার, ট্রাম্পসহ পশ্চিমের প্রায় রাজনীতিবিদ জীবিকার জন্য রাজনীতি করেননি, তারা জীবিকার জন্য কাজ করেছেন; বাংলায়, শেরে বাংলাও জীবিকার জন্য আইন ব্যবসা করতেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এখনকার সব নেতাই ছাত্রনেতা ছিলেন, রাজনীতিই উনাদের জীবিকা; রব, ইনু, শেখ হাসিনা, তোফায়েল, মতিয়া চৌধুরী, নাহিদ, মেনন, ফেনন এরা কেহই চাকুরী বা ব্যবসা করে জীবিকা অর্জন করেননি; দেশের সাধারণ মানুষের মতো সংগ্রাম করে পরিবার চালাননি; ফলে, তাদের কাছে জীবনের অনেক কিছুই ভার্চুয়াল; কিন্তু ১৭ কোটী মানুষের জীবন ভার্চুয়াল নয়।
চাকুরী বা ব্যবসা করে জীবিকা অর্জন না করার ফলে, এরা সাধারণ মানুষের জীবন সংগ্রামকে বুঝতে পারে না; তদুপরি, এরা ক্ষমতায় গিয়ে আয় করতে গিয়ে, যোগ্যতার থেকে বেশী আয় করেছে সব সময়; তারা না চাহিলেও, প্রশাসনের লোকজন তাদেরকে সাধারণ মানুষ থেকে বেশী সুবিধা দিয়েছে, এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই নিয়ম না মেনে।
আরেকটা ব্যাপার হলো, এদের অনেকেই ছাত্র জীবন থেকে সোজাসুজি খুবই বড় পদে কাজ নিয়েছেন, অনেকই এমপি, মন্ত্রী হিসেবে জীবন শুরু করেছেন; এগুলো এসব লোকদের সাধারণ মানুষ থেকে আলাদা করে রেখেছে, এরা মানুষের কস্ট বুঝে না; এরা সৌদীতে বাংগালীদের কস্ট বুঝতে পারে না; শুধু রোবটের মত রেমিট্যান্সের জন্য ধন্যবাদ দেয়, আর বলে, "আপনারা সবাই এক একজন রাস্ট্রদুত"; রাস্ট্রদুতেরা আলকাতরা ঢালছে রাস্তায়!
এদের অনেকেই ক্ষমতায় এসে ব্যবসায়ী হয়েছে, মানে পুরোটাই অন্যায়; ফলে, দেশের ন্যায়ের ভিত্তিতে কোন ব্যবসা হচ্ছে না আর; সেই সুযোগে ব্যবসায়ীরাও পার্লামেন্টে যাবার জন্য মনোয়ন কেনার সুযোগ পেয়েছে।
যারা ছাত্র রাজনীতি করে দেশ চালনার ভার নিয়েছে, তারা জীবিকার জন্য রাজনীতির উপর নির্ভরশীল; জীবিকা আয়ই এদের আদর্শ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১২