আজ মার্চ ২৩,২০১৭ সাল; আজ থেকে ৭ বছর আগে, আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয় বড় মানবিক বিল পাশ করা হয়েছিল আমেরিকান কংগ্রেসে; আজ চেস্টা করা হয়েছিল, আইনটিকে বদলানোর; আজ রাতে ভোট হওয়ার ছিল, কিন্তু ট্রাম্প প্রয়োজনীয় ভোট পাবে না ভেবে, আজকের ভোট স্হগিত করেছে; আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ভোট হবে, যথাসম্ভব ওবামার আইনের স্হানে নতুন হেলথ-কেয়ার আইন আসবে। ওবামা বিলটি আনার আগে, ৪২ মিলিয়ন লোকের হেলথ ইন্সুরেন্স ছিলো না; আজকেও হয়তো ১১ মিলিয়ন লোকের ইন্স্যুরেন্স নেই। এই আইন হেরে যাবার পর, কয়েক বছরের মাঝে ৫২ মিলিয়নের ইন্স্যুরেন্স থাকবে না। বিশ্বাস করা যায়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের ৫ কোটী ২০ লাখ মানুষ ডাক্তারের কাছে যেতে পারবে না, অনেক ডাক্তারের অফিস তাদের না করে দেবে?
ওবামা-কেয়ার সবাইকে ইন্স্যুরেন্স দেয়ার জন্য হাসপাতাল, ডাক্তার, ফার্মেসী, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী ও প্রাইভেট হেলথ ইন্স্যুরেন্সের অসম্ভব ওভার-বিল কমানোর ব্যবস্হা করেছিল; আজ এদের কারণে, রাজনীতিবিদরা ও ট্রাম্প ওবামার আইনকে পরাজিত করছে!
গড় ১৯শে মার্চ রাতে চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা একত্রিত হয়েছিলেন এক অনুষ্ঠানে, এক সময়, ঘোষণা করা হলো যে, কেমেস্ট্রী ডিপার্মেন্টের একটা ছেলের ক্যানসার হয়েছে, সবাই যেন সাধ্যমত দান করেন; আমি আমার সাধ্যমত দান করার পর, উনাদের সব ছাত্র ও শিক্ষকদের সামনে প্রশ্ন রাখলাম, ইউনিভার্সিটিতে ২০ হাজার ছাত্র আছেন; ১২ শত পিএইচডি শিক্ষক আছেন; কেন তারা এই সমস্যা সমাধান করতে পারলেন না? ইউনিভার্সিটিটি ৫০ বছর আছে, হয়তো পড়ালেখা-কালীন ১০,০০০ ছাত্রের মাঝে ১ জনের ক্যানসার হয়, তার জন্য ইউনিভার্সিটির বাহিরে কেন ভিক্ষা করতে হচ্ছে? বুঝতে পারছেন, সবাই আমার উপর অসন্তস্ট হয়েছেন!
আমেরিকা কেন এই অবস্হার মাঝ দিয়ে যাচ্ছে? কংগ্রেসের ৫৩৫ জন বিশাল রাজনীতিবিদ কিভাবে আমেরিকার ৩০ কোটী ২০ লাখকে বুঝাচ্ছে যে, তোমাদের মাঝ থেকে ৫ কোটী ২০ লাখ ডাক্তারের কাছে যেতে পারবে না; গেলে আয়ের টাকা থেকে দিতে হবে; বাকীদের বেলায়, সরকার ও প্রাইভেটের মালিকেরা দেবে। এটাকে বলে ক্যাপিটেলিজমের মগজ; ২৫ কোটী মানুষ ও ৫৩৫ জন বড় রাজনীতিবিদ মনে করছে যে, এটাই সঠিক, বাকী ৫ কোটীর ডাক্তারের কাছে যাবার অধিকার নেই!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫৭