সংবাদ অনুসারে যতটুকু বুঝা যাচ্ছে, সিলেটের বাড়ীটির নীচতলায় ঘেরাওর মাঝে আটকা পড়ছে কয়েকজন উগ্রপন্হী লোক; ওদের ক্ষমতা সীমিত, হয়তো কিছু বিস্ফোরক আছে ও কিছু পরিমাণ অস্ত্র আছে; তারা যদি বাড়ীতে অবস্হিত অন্যদের কোনরূপ ক্ষতি না করতে পারে, সোয়াটের অভিযান চালিয়ে তাদের হত্যা করা ঠিক হবে না, তাদের ধরে বিচার করা উচিত; সর্বোপরি, এখানে কমপক্ষে ১ জন নারীও আছে। বাড়ীটি ঘেরাও করে রাখলে ও ভেতরের অন্য পরিবারের লোকদের বের করতে পারলে, তাদেরকে নিজের থেকে আত্মসমর্পনের দিকে নিয়ে যাওয়ার দরকার; এতে অন্য উগ্রদের উপর প্রভাব পড়বে; কোন সুযোগ না দিয়ে হত্যা করা ভুল; সর্বোপরি, এটা যুদ্ধ অবস্হা নয় যে, সময় নেই!
কমান্ডোরা ভিতরে প্রবেশ করে, সহজেই বাড়ীর ভেতরে অবস্হানরত অন্য বাসিন্দাদের বের করে নিয়ে আসতে পারবেন। আটকা পড়ারা বাড়ীতে আগুন লাগানোর চেস্টা করতে পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিয়ে, বাড়ীটিকে খালি করার পর, গ্যাস দিয়ে ভেতরের উগ্রদের বেহুস করে ফেলা সম্ভব।
আটকে পড়ারা যদি পুলিশ ও সোয়াট টিমকে বিশ্বাস না করে, তাদের ইচ্ছানুসারে দেশের পরিচিত মানবাধিকার লোকদের কাছে আত্মসমর্পণ করার সুযোগ দেয়ার দরকার।
বাংলাদেশে প্রচুর মানুষ দেশের দুরাবস্হা, সমাজের অবিচার, বেকারত্ব, ভুল রাজনীতির শিকার হয়ে উগ্রবাদী হয়ে যাচ্ছে; তবে, ওদের সংখ্যা খুবই কম; কিন্তু সরকারের ভুল ও দরকারের বেশী চাপ তাদের ফেরার পথ বন্ধ করে দিতে পারে; তাদেরকে বেঁচে থাকার সুযোগ দেয়া হোক, সময় দেয়া হোক; তাদেরকে বুঝতে দেয়া হোক, বিচারের সুযোগ দেয়া হোক; দেশের পরিস্হিতি বিচার করে, তাদেরকে এ্যামনেষ্টিও দেয়া যেতে পারে; বিনা প্রয়োজনে সোয়াট ব্যবহার করা ঠিক হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৩৮