somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সময়ের সাথে, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, শেখ সাহেব থিতিয়ে গেছে!

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১৯৫২ সাল থেকে জমে থাকা স্বপ্ন, আশা, ক্ষোভ, প্রতিবাদ, হতাশা ১৯৭১ সালে এসে বিস্ফোরিত হয়েছিল; ১৯৭২ সালের শুরুটা ছিল বিশাল আশার; অনেক কষ্টের পর, অফুরন্ত স্বপ্নের; সেই বছরের শেষের দিকেই সবকিছু ক্রমেই থিতিয়ে যাচ্ছিল; '৭১ সালে মার্চে যারা বাড়ি থেকে খালি হাতে যু্দ্ধে গিয়েছিলেন, সেই বছরের ১৬ই ডিসেম্বরে তাঁদের হাতে ছিল অটোমেটিক রাইফেল, এলএমজি; ১৯৭২ সালের শেষ দিকে আবারো তাঁরা খালি হাতে, বেকার!

এঁদের যে বিরাট স্বপ্ন ছিল, আশা ছিল, সবই মরীচিকায় পরিণত হলো; এঁরা কাজ করতে চেয়েছিলেন, কল-কারখানায়, মাঠেঘাটে, স্কুলে, বন্দরে; দেশে নাকি কাজ নেই, দেশের ভান্ডারে নাকি টাকা নেই, দেশে নাকি সম্পদ নেই! এঁরা তো ৯ মাস কোন টাকা চাহেননি, বিনা বেতনে যুদ্ধ করেছেন, তাঁদেরকে কাজ করতে দিলে, টাকা দিতে হবে কেন? এঁরা কি টাকা চেয়েছিলেন কোনদিন? যুদ্ধ করে প্রাণ দেয়ার মত কাজে বেতন চাননি, সামান্য মাঠেঘাটের কাজের জন্য টাকা চাইতেন? মনে হয় না।

সম্পদ না থাকলে টাকা হয় না, টাকার অভাবে সম্পদ হয় না; টাকা ছাপানো যায়; সম্পদ ছাপানো যায় না, ইহার পেছনে শ্রমের দরকার হয়, প্রযুক্তির দরকার হয়, দক্ষতার দরকার হয়; টাকা ছাপানো তো সহজ ছিলো; সর্বোপরি, যাঁরা যুদ্ধ করেছেন, তাঁরা কোনদিন টাকা চাহেননি; টাকা চেয়েছেন তারা, যারা সেক্রেটারিয়ে চাকুরী করেছে, ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে চাকুরী করেছে, বা রাজাকার হয়েছে তারা।

আসলে জনতা একপথে এগুচ্ছিলেন, শেখ সাহেব উনার দলবল নিয়ে অন্য পথে এগুচ্ছিলেন; ১৯৭০ সালে ক্রসিং'এ দেখা হয়েছিল; ১৯৭২ সালে, শেখ সাহেব উনার পথে চলে গেছেন, মানুষ নিজের পথে চলে গেছেন; ঘুরেফিরে মানুষ ১৯৫২ সালের বৃত্তের মাঝেই আছেন।

সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:২৮
১১টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ডায়েরী- ১৩৯

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪১

ছবিঃ আমার তোলা।

আজকে সাত রোজা।
সময় আসলে অনেক দ্রুত যায়। গতকাল সুরভি আর ফারাজাকে নিয়ে গিয়েছিলাম শপিং করতে। কারন আমি জানি, ১৫ রোজার পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্বাসীকে লজিকের কথা বলার দরকার কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১৭




হনুমান দেবতা এবং বোরাকে কি লজিক আছে? ধর্ম প্রচারক বলেছেন, বিশ্বাসী বিশ্বাস করেছেন ঘটনা এ পর্যন্ত। তাহলে সবাই অবিশ্বাসী হচ্ছে না কেন? কারণ অবিশ্বাসী বিশ্বাস করার মত কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভাবছিলাম ২ লক্ষ ব্লগ হিট উপলক্ষে ব্লগে একটু ফান করব আড্ডা দিব, কিন্তু এক কুৎসিত অপব্লগার সেটা হতে দিলোনা।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৫



এটি ব্লগে আমার ২৬০ তম পোস্ট। এবং আজকে আমার ব্লগের মোট হিট ২০০০০০ পূর্ণ হয়েছে। আমি আনন্দিত।এই ছোট ছোট বিষয় গুলো সেলিব্রেট করা হয়তো ছেলে মানুষী। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শয়তান বন্দি থাকলে শয়তানি করে কে?

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২০



রমজানে নাকি শয়তানকে বেধে রাখা হয়,তাহলে শয়তানি করে কে?

বহুদিন পর পর ব্লগে আসি এটা এখন অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। বেশ কিছু বয়স্ক, মুরুব্বি, সম বয়সি,অল্প বয়সি একটিভ কিছু ব্লগার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কট বাঙালি

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৪



কদিন পরপরই আমাদের দেশে বয়কটের ঢল নামে । অবশ্য তাতে খুব একটা কাজ হয় না । বাঙালির জোশ বেশি দিন থাকে না । কোন কিছু নিয়েই বাঙালি কখনই একমত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×