গত কয়েক বছরে, গ্রামের স্কুল ও কলেজে সায়েন্সের ছাত্র খুবই কমে গেছে; স্কুলের বাচ্ছারা নিজেদের উপর আস্হা হারিয়ে ফেলছে, তারা ধরে নিচ্ছে যে, তারা সায়েন্সে পড়ে ভালো করতে পারবে না, সায়েন্স কঠিন। যারা ক্লাশের জন্য ভালো ছাত্র, তারা "ফাঁস করা প্রশ্নে" উত্তর দেয়ার পর, নিজেদের ক্ষমতাকে নিজেরাই আর অনুধাবন করতে পারে না। তাদের মনে একটা শংকা এসে ভর করেছে যে, তার রেজাল্ট ভালো হয়েছে শুধুমাত্র প্রশ্নপত্র আগে হাতে পাওয়াতে।
যারা "ফাঁস করা প্রশ্ন" দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে, তাদের ৮০% একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে নকল করে। যদিও প্রশ্নপত্র পাবার পর, ভালো ছাত্ররা দেখেছে যে, সব প্রশ্নের উ্ত্তরই তারা পারে, কিন্তু যাতে সে আরো ভালোভাবে লিখতে পারে, এবং কিছু ভুলে না যায়, সেজন্য তারা উত্তর প্রস্তুত করে নেয় নকল হিসেবে।
অস্টম শ্রেণী ও এসএসসি'তে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার পর, অসৎ শিক্ষক ও টিউটরেরা প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর ছাত্রদের দিয়েছে বেশীভাগ ক্ষেত্রে; যেসব ছাত্রছাত্রী ফাঁসকরা প্রশ্নের উত্তর নিজেরা সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে পারবে না ভেবেছে শিক্ষকেরা, সেইসব ছাত্রকে পরীক্ষার হলেও লিখিত উত্তর যোগাড় করে দিয়েছে অনেক অসৎ শিক্ষক।
যেসব শিক্ষকেরা অসদুপায়ে ছাত্রদের পাশ করতে সাহায্য করছে, তারা এসব ছাত্রদের মেধাকে মোটেই মুল্য দেয় না; মানসিকভাবে ধরে নেয় যে, এগুলো গর্দভ; এসব শিক্ষকেরাই ছাত্র ও তাদের পিতামাতাকে বলেন যে, এরা সায়েন্সের মতো কঠিন সাবজেক্ট পড়ে ভালো করতে পারবে না।
উত্তর চট্রগ্রামের একটি কলেজ বিশেষভাবে চেষ্টা চালায়েও( হেড-হান্টিং) এইচএসসি সায়েন্স গ্রুপের জন্য পরিমিত ছাত্র পায়নি; অনেক উৎসাহ দিয়ে ও বুঝায়ে ভর্তি করার পর, ২/৩ মাসের ভেতর বেশীর ভাগ ছেলেমেয়ে কমার্স ও আর্রটস গ্রুপে চলে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯