মানুষ ও সরকারের মাঝে যদি ঘনিষ্ট সম্পর্ক থাকে, সরকারের তেমন কিছু লুকানোর মতো থাকে না; বাংলাদেশের বেলায়, সরকার ও মানুষের মাঝে ভালো সম্পর্ক শেখ সাহেবের আমলেও ছিলো না; উনার আমলে, মানুষ নিজের থেকে উনার ঘনিষ্ট ছিলো, উনি সেটার খুব একটা মুল্য বুঝেছেন বলে মনে হয় না। জেনারেল জিয়ার সময়, মানুষ দুর থেকেই উনাকে খুবই কাছের প্রেসিডেন্ট মনে করতেন; দু:খের বিষয়, মানুষ উনাকে বুঝার সুযোগ পাননি, উনি চাঁদের মতই দুর আকাশে ছিলেন, সবার বিরাট ভক্তি গ্রহন করেছেন, বিনিময়ে কিছু দেয়া লাগেনি, মানুষ খুশী ছিল যে, নিজের ভক্তিটুকু নিবেদন করতে পেরেছেন।
শেখ হাসিনার সরকারের সাথে মানুষের তেমন কোন সম্পর্ক নেই, যাদর সাথে আছে, সেটা পার্টিগত ও ব্যবসায়িক; সাধারণ মানুষ মোটামুটি দর্শক। উনি সব সময় বলছেন যে, উনি সবকিছু মানুষের জন্য করছেন, চিন্তার কিছু নেই, ফুর্তি কর; আর যদি পছন্দ না হয়, চুপ করে থাক!
উনি ভারত সফরে গিয়ে যা করেছেন, সেগুলো ঢাকায় বসে কুটনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাধান করা যায়। রাস্ট্রীয় সফরগুলো হয় সাধারণত কোন দেশে নতুন কোন সরকার হলে, এবং দেশগুলোর সম্পর্কের ও চলমান চুক্তিগুলোর কোন বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিলে। মোদী সরকার ও উনার সরকারের মাঝে উল্লেখযোগ্য কোনকিছু ঘটছে না। অবস্হা দেখে মনে হচ্ছে, উনি গিয়েছেন শুভেচ্ছা সফরে ও আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে।
উনি ভারত সফরে গেলে কি কি চুক্তি হবে, সেগুলো সরকারের লোকেরা প্রকাশ করেছে, পার্টির লোকেরা প্রকাশ করেছে সফরকে গুরুত্বপুর্ণ করে তোলার জন্য; সেদিক থেকে তিস্তা চুক্তির কথা এসেছে। তবে, কোন চুক্তি হবে, কোন চুক্তি সম্ভব, সেগুলো সফরের অনেক আগের থেকেই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে স্হির করা হয়। সেই হিসেবে, তিস্তা নিয়ে নিশ্চয়ই আলাপ হয়েছিল, ও সরকারের লোকেরা ফলাফল জানতো।
তিস্তা চুক্তি হয়নি, হলে ভালো হতো; কিন্তু হয়নি বলে, বিশালভাবে হতাশ হওয়ার দরকার নেই; ইসরায়েলে বৃস্টিও হয় না; ওরা মরুভুমিকে সবুজ করে ফেলেছে, সব্জি রপ্তানী করে আমেরিকা ও ইউরোপে; দরকার শিক্ষা, রিসার্চ, দক্ষতা ও জাতীয় ঐক্য।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২