এখন নর্থ কোরিয়ান সময় দিনের ১২ টা, সেখানে এক বিশাল মিলিটারী প্যারেড হচ্ছে; প্যারেড এত বেশী সুশৃংখল ও বর্ণাঢ্য যে, দেখলেই ভয় পাওয়ার মতো; বিশ্বের বড় ৩টি সামরিক জাতিও এই ধরণের বড় প্যারেডের ব্যবস্হা করতে পারবে কিনা সন্দেহ। প্যারেডের পরে, তারা মিসাইল ও পারমানবিক বোমা টেস্ট করবে। তারা ঘোষণা দিয়েছে, "যদি এতে কেহ হস্তক্ষেপ করে, তাদেরকে দয়ামায়াহীনভাবে পারমানবিক শক্তি দিয়ে জব্দ করা হবে"। প্যারেডে শহরের সাধারণ মানুষ বেলুন ও পতাকা হাতে ৫ ঘন্টা দাঁড়িয়ে আছে, ও মিলিটারীর সাথে মার্চ করছে।
এদিকে ট্রাম্প আমেরিকান মিলিটারীকে জরুরী ভিত্তিতে, যেকোন আক্রমণের প্রতিহত করার ক্ষমতা দিয়েছে; আমেরিকান ভাষায় প্রতিহত করার অনেক অর্থ আছে; নর্থ কোরিয়া এই অবস্হাকে আক্রমণের সম্ভাবনা হিসেবে ধরে নিয়েছে; এই ধারণা থেকে, থেকে ওরা নিজেরাই দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে আক্রমণ করতে পারে। এদিকে চীন মনে হয়, যুদ্ধকে এগিয়ে দিচ্ছে, তারা নর্থ কোরিয়ার সাথে প্যাসেন্জার বিমান যোগাযোগ বন্ধ করেছে আজ থেকে; এতে যুদ্ধ আসন্ন বলে মনে হচ্ছে।
আগামিকাল আমেরিকান ভাইস-প্রেসিডেন্টও সেই এলাকায় থাকবে; এতে বুঝা সম্ভব যে, আগামীকালের ভেতর আমেরিকা হয়তো আক্রমণ করবে না; নাকি এটাও কোন ধরণের চাল, কে জানে!
উত্তর কোরিয়া চেস্টা করছে, আমেরিকান মুল ভুখন্ডে আঘাত কার মতো মিসাইল তৈরি করতে; কিমকে কি ভুত পেয়েছে যে, আমেরিকাকে আঘাত করাই তার একমাত্র কাজ। গত ২০ বছরে নর্থ কোরিয়ার সাথে আমেরিকার একটা সমস্যা, নর্থ কোরিয়া যেন পারমানবিক বোমা না বানায়; কিন্তু তারা বানিয়েছে; এখন সমস্যা, দুর পাল্লার মিসাইল যেন তৈরি না করে; কিন্তু সেটা তারা বানাচ্ছে ও পরীক্ষা করছে; আজকেও করবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৫