এ বছর, লিবিয়া থেকে নৌকায় করে ৩০০০ বাংগালী ইতালী পৌঁছেছেন; জাতিগত হিসেবে বাংগালীরা অন্য জাতির চেয়ে অনেক বেশী সংখ্যক পৌঁচেছেন। ভুমধ্যসাগর পার হতে গিয়ে ১১০০ জন ডুবে মরেছেন এই বছর; আনুপাতিক হারে বেশী কে মরেছে? যারা পৌঁচেছে, তারা জেল ইত্যাদিতে থাকার পরও, একদিন বাংলাদেশে ইউরো পাঠাবেন, একদিন দেশ-প্রেমিকে পরিণত হবেন। যাদের বউ বিধবা হয়েছেন, যারা ছেলেকে হারায়েছেন, তারা ভাগ্যকে দোষ দিয়ে আরো দরিদ্র হয়ে যাবেন; কারণ, কমপক্ষে ১৫০০০ ডলার ক্যাশ ক্ষতি হয়েছে।
এই সংবাদটা মিডিয়াতে আসার পর, আপনারা প্রাইম মিনিস্টার, প্রেসিডেন্ট, বিরোধীদলের নেত্রী, বিএনপি প্রধান, ঢাকা ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর থেকে কোন রিএ্যাকশন দেখেছেন? দেখেননি। এর অর্থ হচ্ছে, এই লোকগুলো এদেশের কেহ নন। আসলে, আপনি, আমি কেহই এ দেশের সরকার, প্রশাসন ও শিক্ষিতদের কাছে কেহ নই।
মৃতদের মাঝে ৩০০ থেকে ৫০০ বাংগালী আছেন; আরো ২০০০ হাজার লিবিয়া ও তার আশে পাশে অপেক্ষা করছেন সাগরে নামার জন্য; এই মানুষগুলো ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে দেশ ছেড়েছেন।
এই ঘটনা চলে আসছে গত ২০ বছর ধরে; এটা যে জাতির জন্য বিশাল সমস্যা, সেটি শেখ হাসিনা বা বেগম জিয়া ও তাদের সরকারগুলো বুঝতে পারেনি; বরং, উল্টো, তারা এই মানুষগুলোর জীবনমরণ নিয়ে লাভবান হয়েছেন; সব আদম ব্যাপারী সরকারের লোকদের চাঁদা দেয়; এবং পার্টির প্রচুর লোকজন আদম ব্যবসায় জড়িত।
আপনি ও আমি হয়তো এই মহুর্তে এই লোকগুলো ও তাদের পরিবারের জন্য কিছু করতে পারবো না; তবে, এটা সঠিক যে, এই ধরণের আত্মাহুতি একটি জাতির বেঁচে থাকার সংগ্রামের অংশ হওয়া উচিত নয়, সেটা বুঝতে কস্ট হওয়ার কথা নয়; সেটা যদি বুঝতে পারেন, কমপক্ষে একটা সঠিক ভাবনার অধিকারী হতে পারবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩