না, আগামী নির্বাচনে হেফাজত এখনো ফ্যাক্টর নয়; হেফাজতের ভোট আগামী নির্বাচনের জন্য কোন ক্রিটিক্যাল ভুমিকা রাখতে পারবে না; হেফাজতের ভোট নিয়ে বিএনপি জিততে পারবে না। সাড়ে ১০ কোটী ভোটারের মাঝে, হেফাজতের ভোট যদি ৫০ লাখও হয়, এবং তা যদি ৩০০ আসনে থাকে, প্রতি আসনে সাড়ে ১৬০০০ ভোট; প্রতি আসনে সাড়ে ৩ লাখ ভোটের মাঝে ইহা ফ্যাক্টর নয়। আওয়ামী লীগের ভোট বাড়বে কিনা? সন্দেহ আছে; হেফাজতের লোকজন কোন অবস্হায় নৌকা প্রতীকে ভোট দেবে না; এমন কি, ওলামা লীগের সব ভোট নৌকায় যায় কিনা সন্দেহ আছে! তা;হলে শেখ হাসিনা কি কারণে হেফাজতের অকারণ দাবী মেনে নিচ্ছে? শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে আধুনিক সভ্যতায় বিশ্বাসী, ছবি, ভাস্কর্য বা মুর্তি দেখে বিচলিত হওয়ার কেহ নন; যারা এসব আজগুবি দাবী মাবী করছে তাদের কোন সমর্থক উনি নন।
শেখ হাসিনা ধরে নিয়েছেন যে, আগামী ভোটে উনাকে জিততে হবে; উনার ধারণা, উনার দল ব্যতিত বাংলাদেশ চালানোর অধিকার অন্য কোন দল রাখে না; জনগণ উনার দলকে চায় কিনা, সেটা উনি বুঝতে চান না; উনি জানতে চান, কেন মানুষ বিএনপি'কে ভোট দেয়ার কথা ভাবতে পারে? উনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন যে, বিএনপি'র নেতৃত্বের লোকেরা বাংলাদেশ নামক দেশটি চাহেনি।
আগামী নির্বাচনে উনি কিভাবে জিতবেন, সেটা এখনো তিনি বলেননি; তবে, উনি বিশ্বাস করেন যে, তাঁর দল দেশ ও জাতির যেটুকু উন্নয়ন করেছে, ভোট তাদের প্রাপ্য হয়েই আছে। তারপরও একটা সমস্যার কথা ভাবছেন, পর পর ২ বার ক্ষমতায় থাকার পর, মানুষ অকারণে কোন পরিবর্তন চেয়ে বসে কিনা; বাংগালীরা আগে প্রতিবারেই বদলানোর পক্ষে ছিলো। তিনি সেইদিকে খেয়াল রাখছেন; উনি চাচ্ছেন, হেফাজত ভোট না দিক, কিন্তু ভোটের আগে কমপক্ষে আওয়ামী লীগ বিরোধী কথা যেন না বলে। ভোটের আগে কথা উঠবে, আওয়ামী লীগ কেন পরপর ৩ বার ক্ষমতায় যাচ্ছে? উনি এই আওয়াজটাকে কমায়ে আনার চেস্টা করছেন। তদুপরি, উনি তাদেরকে বিনা পয়সায় কিনেছেন, মোয়া ধরায়ে দিয়েছেন।
সাধারণভাবে, হেফাজতের লোকেরা ভোট কেন্দ্রে কম যাওয়ার কথা; তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে নেয়ার কথা জামাতের; শেখ হাসিনার প্ল্যান, ওরা যেন জামাতের হাতে না পড়ে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:০৫