স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর, ১ জন বাংগালীও অশিক্ষিত থাকার কথা ছিলো না; আমাদের সম্পদ ছিলো, রিসোর্স ছিল, মানুষ প্রস্তুত ছিলো; কিন্তু যারা সরকার চালিয়েছেন, তাদের মনন, প্ল্যান ও দক্ষতা ছিলো না। মিশ্র-শিক্ষিত সমাজে, শিক্ষিতরা যদি উন্নত-মানের শিক্ষিত না হয়, তারা অশিক্ষিতদের ঠকায়, বন্চিত করে; এবং নিজেদের মাঝে প্রতিযোগীতায় নিয়োজিত হয়; বাংলাদেশে তা ঘটেছে নগ্নভাবে। বাংলাদেশের অশিক্ষিত মানুষরা শিক্ষিত মানুষের সামনে আসতেই অকারণেই নতভাবে আসে, এটা সামাজিক নিয়ম হয়ে গেছে, এটা শিক্ষিত ও অশিক্ষিতদের মাঝে অংকিত লাইন; কিন্তু এভাবে সমাজ চলতে পারে না, সমাজ পেছনে পড়ে যায়। অর্থনৈতিকভাবে দেখলে, অশিক্ষিত মানুষ সমাজের জন্য এক ধরণের বোঝা, কারণ তারা নিজ পরিবার চালানোর মতো আয় করতে পারে না, সমাজের অর্থনৈতিক সিস্টেমের তলায় পড়ে থাকে সব সময়।
এখন বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশে শিক্ষিতরাও বেকারত্বে ভুগছে; তৃতীয় বিশ্বে শিক্ষা সব সময় জীবনমাত্রার মান পুরোপুরি নির্ধারণ করতে পারে না; কারণ, তৃতীয় বিশ্বের মানুষের ভাবনাশক্তিই তৃতীয় লেভেলের; এদের পড়ালেখার মান কম, এরা প্রয়োজনের বেশী সম্পদ দখল করে বেআইনীভাবে, এবং অনেক সময় শিক্ষাকেই সাধারণ মানষের স্বার্থের বিপরিতে ব্যবহার করে।
বাংলাদেশে সরকারগুলো প্রশাসন, দল ও সুযোগ সন্ধানীদের হাতে আটকা পড়েছে সব সময়; অশিক্ষিতদের এর মাঝে প্রবেশের সুযোগ নেই, এবং এই ধরণের কমপ্লেক্স সিস্টেম যা তাদের কাছে পুরোপুরি পরিস্কার নয়; ফলে, তারা সিস্টেমের বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে যা পায়, সেটা নিয়েই বেঁচে থাকে।
জাতি এভাবে চলতে পারে না; জাতির সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে শিক্ষা ও অন্যান্য মৌলিক অধিকারগুলোতে। ৪৬ বছরের প্যাটার্ণ বলছে যে, সরকার থেকে এই ধরণের সুযোগ সহসা আসছে না; ফলে, আমাদেরকে বেসরকারীভাবে একটা বিকল্প পদ্ধতি বের করতে হবে; এবং শিক্ষিতরা এ ব্যাপারে একমত হলে, একটা পথ বের করা কঠিন হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৯