আরাকানে রোহিংগাদের অবস্হা ভয়ংকর, সন্ত্রাসী রাখাইন ভিক্ষুরা ও সরকারী বাহিনী সুযোগ পেলেই রোহিংগাদের হত্যা করে, বাড়ীঘর জ্বালিয়ে দেয়; সেই অবস্হায়, ১২ জন সরকারী বাহিনীর লোককে হত্যা করা ছিল নিজেদের পায়ে কুড়াল মারার চেয়েও ভয়ানক বেকুবী; কারণ, এর ক্ষতিপুরণ গুনেছেন নিরীহ রোহিংগারা, ৫০০ শতের বেশী মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে, কয়েক হাজার ঘরবাড়ী পোড়ায়ে দিয়েছে, নারী শিশুকে প্রাণ নিয়ে পালাতে হয়েছে সবকিছু পেছনে ফেলে। রোহিংগাদের উপর অকারণেই হামলা হয়ে থাকে, সেখানে কারণ সৃস্টি করা ভয়ানক বুদ্ধিহীনতার কাজ।
আপনি যদি হায়েনার খাঁচায় আটকা পড়েন, ঘুমন্ত হয়েনার লেজে পা দেয়া কি উচিত?২০১৫ সালের পর, সরকারী বাহিনী বড় ধরণের হত্যাকান্ড চালায়নি; বিশষ করে জাতি সংঘের রিলিফের লোকেরা ওখানে খাবার দিচ্ছিল, তাদের উপস্হিতিতে সন্ত্রাসী রাখাইন ভিক্ষুরা ও সরকারী বাহিনী সুযোগ পাচ্ছিল না; কিন্তু কিছু রোহিংগা, কিংবা তাদের সমর্থনকারীরা এই অসফল আক্রমণ করে নিরীহ মানুষকে মৃত্যুর সামনে ঠেলে দিয়েছে।
বার্মার হাতীর গায়ে মশার আক্রমণকে অনেকে বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের পরস্হিতি মনে করছেন, আমরা যেভাবে গেরিলা আক্রমণ করে পাকী বাহিনীকে সন্ত্রস্ত করেছিলাম আরাকানেও তা ঘটছে, বা ঘটবে। আসলে, আরাকানের পরিস্হিতি আলাদা; আমাদের ব্যাপারে, শতকরা ৮০ ভাগ লোকের সমর্থন ছিলো; মানুষ গেরিলাদের সাহায্য করেছেন, লুকায়ে রেখেছেন; গেরিলাদের জন্য মুক্তান্চল ছিলো। ওখানে রাখাইন ভিক্ষুরা সামরিক বাহিনী থেকে অনেক বেশী ভয়ংকর ও নিষ্ঠুর।
মনে হচ্ছে, গেরিলা গ্রুপটি পাকিস্তান ভিত্তিক; পাকিস্তানে থাকলে ভালো মানুষও ইডিয়টে পরিণত হওয়ার কথা, অশিক্ষিত রোহিংগাদের কথা কি বলা যায়! মনে হয়, বাংলাদেশে অবস্হিত কিছু রোহিংগার যোগ-সাজন এতে্ আছে; এরা কোনভাবেই রোহিংগা সমস্যা সমাধানের দিকে নিতে পারবে না; রোহিংগাদের জন্য ভালো কোন খবর এই মহুর্তে নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪১