গত ২দিন "ইউরো নিউজ" ও বিবিসি'তে বাংগালী জাতির মননকে অনেকভাবে প্রশংসা করা হয়েছে; বাংগালীরা দরিদ্র হয়েও গণহত্যার শিকার রোহিংগাদের যেভাবে গ্রহন করেছে, তা জার্মানীর মতোই দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছে; ইউরোপের মানুষ জাতিকে সমীহের চোখে দেখছে। ইউরো নিইজ বলেছে, যেদেশ জনসংখ্যার চাপে ন্যুয়ে পড়েছে, ও যেদেশে এখনো শিশুরাও পরিবারের জন্য কাজ করতে বাধ্য, সেই দেশ নিরুপায় রোহিংগাদের স্হান দিয়েছে, বাকীটুকু পরের ব্যাপার!
এসব সংবাদ সংস্হার লোকেরা বাংলাদেশ সরকারের অনেক অব্যবস্হাপনা লক্ষ্য করেছেন, এবং বলেছেন যে, বাংলাদেশ সরকার এসবের জন্য সঠিকভাবে প্রস্তুত নয়, তারপরও রোহিংগারা নিশ্চিন্ত যে, এখানে কেহ তাদেরকে হত্যা করবে না, তাদেরকে বনে জংগলে লুকাতে হবে না, দিনের পর দিন পায়ে হেটে আর পালাতে হবে না, রোহিংগা শিশুরা মায়ের কোলে ঘুমাতে পারবে; কমপক্ষে প্রাণ বাঁচানো গেলো!
রোহিংগাদের ব্যাপারে জাতি বিভক্ত, সরকার তৃতীয় পক্ষ; তারপরও রোহিংগারা আশ্রয় পেয়েছে, এটা বড় ব্যাপার; বিশ্ব বাাংলাদেশের হাঁড়ির খবর জানে; রোহিংগারাও জানে। বার্মা সরকারের অবস্হান যদি না বদলায়, একদিন সব রোহিংগাদের বাংলাদেশেই চলে আসতে হবে।
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া রোহিংগাদের বাংলাদেশে প্রবেশের ব্যাপার গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য করছে; ইন্দোনেশিয়ার পররাস্ট্র মন্ত্রী এসেছিল। নতুন করে, প্রথমবার তুরস্ক ও ইরান রোহিংগাদের ব্যাপারে সহযোগীতার কথা বলছে; ইতিমধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের স্ত্রী এসে রোহিংগাদের দেখে গেছে; তারা যদি কিছু পরিমাণ রোহিংগা নিয়ে যায়, তা বাংলাদেশের জন্য ও রোহিংগাদের জন্যও ভালো হবে। দেখা যাক, সরকার কিভাবে ম্যানেজ করে। সরকার ও মানুষ একত্রে কাজ করার মতো সুযোগ বাংলাদেশে নেই, থাকলে জীবন আরেকটু ভালো হতে পারতো।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২