রোহিংগাদের ব্যাপারে ইউরোপ, কানাডা, জাপান এবার বড় ধরণের কোন প্রতিবাদ জানায়নি; পুটিনও সরাসরি কিছু বলেনি; পুটিন সেসনিয়ায় মুসলমানদের হত্যা করে স্বাধীনতার সংগ্রাম থামায়েছে; মাঝে মাঝে মস্কো ঝটিকা আক্রমণের শিকার হয়েছে; তাই মুসলমানদের ব্যাপারে পুটিন চুপ; গত কয়েক বছরে ইউরোপে যা ঘটেছে, তারা এখন মুসলমানদের হয়ে কিছু বলবে না। ইরান ও তুরস্ক রোহিংগাদের হয়ে কথা বলেছে; কিন্তু তারা ইহাকে "মুসলিম" গণহত্যা বলেছে; ইরান কারো পক্ষে কিছু বললে, ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডা সেই পক্ষে না থাকারই কথা; তুরস্কও ক্রমেই ইউরোপিয়ানদের থেকে দুরে সরে যাচ্ছে; ফলে, তুরস্ক যেদিকে যাবে, ইউরোপ সেই দিকে আর যাবে না। সবকিছু মিলে রোহিংগাদের নামের সামনে "মুসলিম" লাগানোতে রোহিংগাদের লাভ হয়নি।
পুর্ব এশিয়া ও মোদির ভারতও এখন আর মুসলমানদের ফ্যান নয়; বার্মা নিজেই রোহিংগাদের "বাংলাদেশী" বলছে, মুসলিম বলেনি; ব্লগে বেশীর ভাগই মুসলমান হিসেবে রোহিংগাদের সম্বোধন করেছে; পুরো রোহিংগা সম্প্রদায় মুসলিম না হলে, ফেসবুক ও ব্লগের সমর্থন পেতো কিনা সন্দেহ আছে!
রোহিংগাদের বড় অংশ এখন বাংলাদেশে চলে এসেছে; তারা আপাতত নিরাপদ, কিন্তু রিফিউজী। রোহিংগা সমস্যার সমাধান সহজ হবে না; কারণ, চীন বার্মার অর্থনীতিতে পুরোপুরি প্রবেশ করেছে, আসলে বার্মিজেরা একদিন চীনাদের কর্মচারী হিসেবে জীবিকা অর্জন করবে; চীন নিজ দেশে মুসলমানদের গেরিলা যুদ্ধ ঠেকাচ্ছে; ওদিকে পুটিন মুসলমানদের হয়ে কিছু বলবে না; ইউরোপ এখন মুসলমানদের হয়ে জাতি সংঘে গলা খুলে কাশবে না; কানাডা ও আমেরিকা চুপ থাকবে। "মুসলিম" শব্দ যোগ করার পর, আমেরিকার সাধারণ মানুষের সমর্থনও থাকবে না।
ইরান ও তুরস্ক রোহিংগা-গণহত্যা বললেই ঠিক হতো; মুসলিম গণহত্যা বলায়, যথাসম্ভব, রোহিংগাদের ক্ষতি হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯