দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আমেরিকায় ২টি হ্যারিক্যান, হারবী ও আইরমা'র তান্ডব লীলায় ভয়ংকরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো মানুষ ও সরকার ; টেক্সাসের মত উঁচু যায়গায় নুহের প্লাবন: হিউস্টন শহর ও তার আশেপাশের শহরগুলো পানির নীচে চলে গিয়েছিল হ্যারিক্যান হারবী'র ফলে; ৩০ জন মানুষ প্রাণ হারায়েছে, ঘরবাড়ী থেকে রিফাইনারী, সবকিছুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরপর গত সপ্তাহে ফ্লোরিডাকে ডুবিয়ে চুবিয়ে দিয়েছে হ্যারিক্যান আইরমা; ২ হ্যারিকেনে মিলে ১৫০ বিলিয়নের বেশী ক্ষতি হয়েছে মানুষের।
হিউস্টনে শিশু ও বয়স্কদের উদ্ধারের মুল কাজটি করেছে সাধারণ মানুষ; সাধারণ মানুষ গলা থেকে কোমর অবধি পানিতে নিজেদের নৌকা, স্পীডভোট নিয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে গেছে, মানুষ থেকে কুকুর বিড়াল সবাইকে নিরাপদ যায়গায় নিয়ে এসেছে; নতুন কাপড়, জুতা, খাবার সবই দিয়েছে।
কিন্তু দিনাজপুরে সাধারণ মানুষ একে অন্যকে সাহায্য করেনি; মানুষ নিজের পরিবারকে উঁচু যায়গায় নেয়ার পর, প্রতিবেশীকে সাহায্য করার জন্য বের হয়নি; বয়স্ক মহিলারা গলা পরিমাণ পানিতে নেমে রিলিফ সংগ্রহ করেছে, তরুণ বা যুবকদের দেখা যায়নি বয়স্কদের জন্য সাহায্যগুলো পৌঁচায়ে দিতে; জাতি ভয়ংকরভাবে দয়ামায়াহীন হয়ে গেছে। গলা পরিমাণ পানির মাঝে মহিলা ছোট শিশুকে নিয়ে হেঁটেছে, কেহ বাচ্ছাটাকে নিয়ে সাহায্য করেনি; দরিদ্র কৃষযকের গরু, ছাগল রক্ষায় তরুণ ও যুবকরা এগিয়ে যায়নি।
বিশ্বের অনেকের বদদোয়া আছে বড় শয়তানের জন্য, সেটা কাজ করেছে, মনে হয়; কিন্ত আমেরিকান মানুষ বিপদে আপদে একে অন্যকে সাহায্য করে, কেহ বলতে হয় না; তারা নিজের থেকেই লেগে যায়।
রোহিংগাদের ৭/৮ বছরের বাচ্ছা নিজের ছোট ভাইবোনকে কোলে, কাঁধে বহন করেছে, টেকনাফের লোকজন সাহায্য করেনি।
বাংগালীরা অপরের জন্য কিছুই করতে চাহে না; তারা বিভক্ত, অপরের প্রতি তাদের টান নেই, বিপদে আপদে বেশীর ভাগ মানুষ জানেও না কিভাবে সাহায্য করবে। নতুন জেনারেশনকে বিশ্ব থেকে শিখতে হবে, প্রাকৃতিক বা মানবসৃস্ট বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, শারীরিক সাহায্য হলো সবার আগে; নারী, শিশু ও বয়স্কদের সাহায্য করার মতো মনন গড়তে হবে।