বৃটিশ আসার আগ অবধি, জলদস্যুর বাচ্চারা বাংলার সমুদ্রোপকুলে মানুষ মেরে মোটামুটি বিনা শাস্তিতে পার পেয়ে গেছে; তখন পরতো ল্যাংটি, এখন পরে গেরুয়া, পার্থক্য এটি। গত চার দশক থেকে এরা আরাকানে হত্যাকান্ড চালিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে, আমাদের মনে ভয়ংকর ক্ষোভ ও হতাশা জমছে!
অনেক ব্লগার হতবাক হয়েছেন যে, গৌতমের শিষ্যরা কিভাবে এত বড় জল্লাদ! আসলে, নাফ নদীর পুর্ব থেকে শুরু করে জাপান অবধি এগুলো শুরু থেকেই ছিল অমানুষ, অর্ধমানুষ ও চরম নিষ্ঠুর; ২য় বিশ্বযুদ্ধে এটম বোমা খাওয়ার পর জাপানের লোকদের মগজ কাজ করার শুরু করেছে, মানুষে পরিণত হয়েছে; বাকীগুলো আগের মতো আছে।
জলদস্যুর বাচ্চারা মানুষ মারা ভুলেনি এখনো; আফসোস, বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্হায় এরা বিনা বিচারে, বিনা শাস্তিতে পার পেয়ে যাবে; বিশ্বের সাপোর্টে রোহিংগারা যদি কোনদিন আরাকানে ফিরেও যায়, হত্যাকারীরা বিনা বিচারে, বিনা শাস্তিতে পার পেয়ে যাবে; বর্তমান বিশ্ব এখন ভয়ংকর অবস্হায় আছে, সরকার সমর্থিত হত্যাকারীদের বিচার চাওয়ার তেমন পথ নেই; বিশেষ করে রোহিংগারা এত অশিক্ষিত যে, এদের মাঝে ১০০ জনও হয়তো নেদারল্যান্ডের হেইগে অবস্হিত ইন্টারন্যশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের নামও শুনেনি।
যদি রোহিংগাদের ফিরতে না দেয়, বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে, বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ১০/২০ জন শিক্ষিত রোহিংগাকে এক করে, একটা সংস্হা গঠন করে, এদের সাহায্যে হেইগে বিচার চাওয়া; রোহিগাদের যেই অবস্হা, এতে তারা হেইগে বিচার চাইতে পারে কিনা, তা এখন থেকেই বাংলাদেশ সরকারের খোঁজ খবর নেয়া উচিত।
কিছু শিক্ষিত রোহিংগা যদি একত্রিত হয়, বাংলাদেশ সরকার যদি তাদের সাহায্য করে, তারা ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট, আমেরিকান সিনেটর, জাপান ও কানাডার সরকারদের সাথে যোগাযোগ করে, তাদের সহানুভুতি পাবার চেস্টা করতে পারে, তারা হয়তো সফল হতে পারে। তারা যদি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সহানুভুতি পায়, তারা বার্মার সরকার, মিলিটারী ও জল্লাদ বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বিচার চাইতে পারবে হয়তো; হয়তো নিহত, আহত ও সম্পদ বিনস্টের ক্ষতিপুরণও পেতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭