সিরিয়া থেকে পলায়নপর সিরিয়ান রিফিউজীদের ছবি ও ভিডিও দেখেছিলেন? ওদের পরণে যে ধরণের কাপড় চোপড় ছিল, সাথে যেসব লাগেজ ছিলো, বাংলাদেশের ধনীদের মতই দেখাচ্ছিল; বাচ্চাগুলোর ভালো কাপড় চোপড়, জুতা পরা; নাদুস নুদুস চেহারা, পুরুষদের পরণে সুন্দর জীনস, ভালো স্মিকারস! দেখতে মনে হয়ছে টুরিস্ট!
আর রোহিংগাগুলোর অবস্হা দেখেছেন? ২/৩ বছরের সব বাচ্চাগুলো ন্যাংটা; পুরুষদের গায়ে কোন শার্ট নেই, ছেঁড়া গেন্জী, পুরান লুংগি; কারো পায়ে কিছু নেই! পানির কলসী, হাঁড়ি পাতিল খেয়াল করেছেন? রোহিগাদের অবস্হা দেখলে সহজে বুঝা যাচ্ছে যে ওরা দীর্ঘদিন নির্যাতিত; দারিদ্রতা ও অশিক্ষা ওদেরকে জীবন থেকে বন্চিত করেছে। মোটামুটি ৩৮ বছরে ওরা আফ্রিকার মানুষের চেয়েও দরিদ্র হয়ে গেছে; অথচ, বার্মা এক অফুরন্ত সম্পদের দেশ।
গত ৩৭ বছরে, বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪০ লাখের বেশী হিন্দু নীরবে চলে গেছে ভারতে; ভারত সরকার টেরও পায়নি; বাংলাদেশ সরকারও কিছু বলেনি; বাংলাদেশে গড়ে হিন্দুরা বেশী শিক্ষিত ছিলো; যারা শিক্ষিত ছিলো না, তাদের অনেকেও শিক্ষিতদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলে গেছে। ভারত সরকার কখনো বাংলাদেশের বিপক্ষে এসব নিয়ে কথা বলেনি; কারণ, ৪০ লাখ একত্রে যায়নি; যদি ৪০ লাখ একত্রে যেতো, ২ দেশের মাঝে ভয়ংকর সমস্যা হতো।
রোহিংগারা কেন সেভাবে, ক্রমেই বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত , পাকিস্তানে চলে যেতে পারেনি? কারণ, তারা বরাবরই অশিক্ষিত ছিল, বিশেষ করে, ১৯৭৯ সালের ঘটনার পর, তারা একদিনেই শিক্ষা থেকে দুরে সরে গেছে। তাদের মাঝে যারা সামান্য শিক্ষিত ছিল, তারা বাকীদের সাহায্য করেনি। তাদের স্কুলগুলো বন্ধ করে দেয়ার পর, নিজেদের মাঝে স্কুল খোলার ব্যবস্হা করেনি।
তবে, মসজিদ ও মক্তব চালু ছিলো; মসজিদ ও মক্তব নিশ্চয় নেতা বা বুদ্ধিমান তরুণ শ্রেণী সৃস্টি করতে পারেনি; পারলে, তারাও হিন্দুদের মতো নীরবে চলে যেতে পারতো, কেহ তেমন বুঝতে পারতো না। এই ভয়ংকর দুর্দিনে তাদের মাঝে সামান্য নেতৃত্বও নেই, সামান্য কোন অর্গেনাইজেশন নেই; স্বামীহারা মহিলারা, পরিবারহারা মেয়েরা যে এসেছে, কেহ এদের আসলে সাহায্য করেনি; ওরা দলের সাথে চলে এসেছে; পথে কতজনের কি হয়েছে তাও জানার উপায় নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৫