মির্জা ফখরুল সাহেবের কথা বলছি; তিনি আদি রাজনীতিবিদ ওলি আহাদের স্মরণসভায় কথা বলছিলেন; তিনি বলেছেন যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই; এ ব্যাপারে উনি সঠিক; তিনি গণতন্ত্র চান, এবং চান যে, বিদেশীদের দ্বারা চাপিয়ে দেয়া গণতন্ত্র নয়; এখানে উনি ভারতের কথা বুঝাতে চেয়েছেন; তিনি সাথে সাথে বলেছেন যে, আপোসহীন নেত্রী, বেগম জিয়া গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে পারবেন! যেই আপোস হীন নেত্রী উনাকে ৫ বছর অস্হায়ী সেক্রেটারী করে রেখেছিলেন, যিনি ৩৪ বছর বিএনপি'র সভাপতি, তিনি গণতন্ত্র প্রতিস্ঠা করবেন? এগুলো কি লজিক্যাল কথা, এগুলো কি রাজনীতির কথা? এসব কথার পর, উনার রাজননৈতিক ধারণা সম্পর্কে আমাদের কি ধারণা হবে?
জেনারেল জিয়ার মৃত্যুর পর, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন বিচারপতি সাত্তার সাহেব; বেগম জিয়া পার্টির মেম্বারও ছিলেন না; সেই মহিলা সবাইকে ডিংগিয়ে যদি পার্টির প্রেসিডেন্ট হয়ে থাকেন, এবং ৩৪ বছর একই পদে থাকেন, তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন? এগুলো কথা হলো?
জেনারেল জিয়ার মৃত্যুর পর, জেনারেল এরশাদ বেগম জিয়াকে ২টি বাড়ী, গাড়ী, ১০ লাখ টাকার ডিপোজিট(১৯৮৩ সাল), চাকর-চাকরাণী, বাচ্চাদের পড়ালেখার জন্য টাকা দেন; জেনারেল জিয়ার ২টি পেনসন (জেনারেল ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে), ঢাকায় ও ঢাকার পাশে ২টি প্লট থাকার পরও বেগম জিয়া এ ধরণের সুবিধা নিয়েছেন। ২ বার প্রাইম নিনিস্টার ও বিরোধী দলের নেত্রী থাকার পরও, তিনি এসব সম্পদ ফিরায়ে দেননি। উনার বড় ছেলে বিরাট শিল্পপতি, ছোট ছেল বিরাট ব্যবসায়ী হওয়ার পরও তিনি জাতিকে বাড়ী ২টি ও টাকাগুলো ফেরত দেননি; এই মহিলা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন, আপনি বিশ্বাস করেন? ফালুর সাথে উনার হাজার কোটীর ব্যবসা আছে এখনও, উনি একটা বাড়ী এখনও ভাড়া দিয়ে রেখেছেন, এই মহিলা জাতির জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন?
বেগম জিয়া আসলে মির্জা ফখরুল সাহেবকে বুঝতে পেরেছিলেন, সেইজন্যই ৫ বছর প্রোবেশানে রেখেছিলেন; উনাকে আসলে ৫৫ বছর প্রোবেশানে রাখলেও উনি রাজনীতি শিখতে পারার কথা নয়; এই লোকগুলো কোন কিছুই শিখতে পারেন না, এরা কি বলেন নিজেও বুঝেন না।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৪