বেগম জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে, সাহায্য, সহায়তা, দয়া, দানশীলতার প্রতীক নন; তিনি ষড়যন্ত্র, অপরাধ, অদক্ষতা ও লোভের প্রতীক মাত্র।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের রোহিংগা ক্যাম্পগুলোতে এখন ৬ লাখের বেশী রোহিংগা শরনার্থী অবস্হান করছে; এরা ভয়ংকর হত্যাকান্ড থেকে পালিয়ে এসেছে, এদের অনেকেরই পরিবারের সদস্য প্রাণ হারায়েছে, এরা নিজেদের সবকিছু ফেলে প্রান নিয়ে পালিয়ে এসেছে, এরা ভয়ংকর মানসিক কষ্টে আছে; এই অবস্হায় এরা যেন কোনভাবেই ভুল লোকদের হাতে না পড়ে সেটা সরকারের খেয়াল রাখার দরকার। ৬ লাখ মানুষ কোন ব্যক্তি বা ছোটখাট সংস্হার সাহায্য চলতে পারবে না, এদেরকে চলতে হবে সরকারের সহায়তায়; জাতি সংঘ ও কিছু দেশ সাহায্য করছে, সরকারকে সেটা খুবই দক্ষতার সংগে হ্যান্ডলিং করতে হবে; না হয়, এদের মনে বাংলাদেশের মানুষ সম্পর্কে খুবই খারাপ ধারণার সৃস্টি হবে। ইতিমধ্যে যে বদনাম শুরু হয়নি, সেটা বলাও কঠিন।
এই বিশাল ভয়ংকর অবস্হার মাঝে বেগম জিয়ার কিছু করার নেই ওখানে; বেগম জিয়া, উনার পরিবারের সদস্যরা লোভী ও প্রমাণিত অসৎ মানুষ; উনার সাথে যারা সেখানে যাবে এদের অনেকেরই ক্রিমিন্যাল রেকর্ড আছে; ওরা ওখানে গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করবে মাত্র; রিলিফের নামে বেগম জিয়া অবশ্যই চাঁদাবাজী করেছেন, উনি উনার সম্পত্তি থেকে জাতিকে কিছু দিয়েছেন, এ রকম কোন ইতিহাস নেই; এরা নিতে জানেন, দিতে ভুলে যান। আরবদেশ সমুহে, আমেরিকা, ইউরোপে বাংগালীরা রোহিংগাদের জন্য বিপুল পরিমাণ ডলার সংগ্রহ করছে; তার কিছু অংশ হয়তো বেগম জিয়াকে দেয়া হতে পারে; এগুলো সরকারের হাতে যাবে না। বেগম জিয়া ১৯৮২ সালে নিজেই জাতির কাছ থেকে রিলিফ নিয়েছেন, আজও ফেরত দেননি; উনি কিসের রিলিফ দেবেন আবার? উনি এখন ক্ষমতায় থাকলে রিলিফ থেকে একাংশ উনার পরিবারের লোকেরাই নিয়ে যাবার সম্ভাবনা ছিলো।
বেগম জিয়া যদি রোহিংগাদের অবস্হা দেখতে চাইতেন, হেলিকপ্টারে করে ওখানে গিয়ে দেখে আসতে পারতেন; উনার বর্তমান শারীরিক অবস্হায়, এক বহর গাড়ী নিয়ে রোহিংগাদের দেখতে যাওয়া কোনভাবেই সমিচীন নয়। প্রাক্তন প্রাইম মিনিস্টার হিসেবে তিনি সরকারের কাছ থেকেই হেলিকপ্টার পাওয়া উচিত।
বেগম জিয়া চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়না হওয়ার পর, বিভিন্নস্হানে উনার গাড়ীর বহর আক্রমণের সন্মুখীন হয়েছে; এগুলো সম্ভব; উনার উপর ও বিএনপর উপর, দেশের ৭/৮ কোটী মানুষ ক্ষিপ্ত অবস্হায় আছে; সেই অবস্হায়, উনাকে গাড়ীতে চলতে দিলে সমস্যা হওয়া খুবই সহজ। উনি মনে করছেন, এই ধরণের সমস্যা উনার দরকার, সেইজন্যই উনি রোহিংগাদের দেখতে যাচ্ছেন গাড়ীতে। উনার সময়ে ৩ লাখ রোহিংগা এসেছিল, উনি দেখতে যাননি; উনি ওদের নামে আরব থেকে কয়েক বিলিয়ন দান খয়রাত আনায়েছিলেন, যার সিংহভাগ উনাদের লোকজন পকেটে ঢুকায়েছে। উনার সময়ে উনি লাভবান হয়েছে, এখন আওয়ামী লীগের সময়, তারা লাভবান হবে, ব্যবসা বুঝতে হবে।
পুলিশের কোনভাবেই উচিত হয়নি বেগম জিয়াকে বের হতে দেওয়া; উনাকে শুধুমাত্র হেলিক্প্টারে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দরকার ছিলো। উনি সাহায্য, সহায়তা, দয়া, দানশীলতার প্রতীক নন; তিনি অপরাধ, অদক্ষতা ও লোভের প্রতীক মাত্র।
http://www.ittefaq.com.bd/national/2017/10/29/133546.html
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৫৭