প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১২ দিনের এশিয়া ভ্রমনে আছে; জাপান, দ: কোরিয়া ঘুরে চীন সফরে গেছে; এরপর যাবে ভিয়েতনাম; সর্বশেষ ফিলিপাইনে এশিয়া পেসিফিক উন্নয়ন সামিটে উপস্হিত থাকবেন।
সরকার প্রধানের, কিংবা সরকারের প্রতি মানুষের সমর্থন না থাকলে, আসলে পুরো জাতি বিশালভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়; ব্যক্তিগতভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চায় যে, উ: কোরিয়া স্হায়ীভাবে আনবিক শক্তিতে পরিণত না হোক, এবং আমেরিকান জনতাও তাই চেয়ে আসছে; কিন্তু ট্রাম্পের প্রতি মানুষের তেমন আস্হা না থাকাতে উল্টোটা ঘটলো।
উ: কোরিয়া জিতে গেছে, ট্রাম্পের রাস্ট্রীয় সফরের সময় চীন উ: কোরিয়াকে চাপ দেয়ার পক্ষে, কিংবা আমেরিকার পক্ষে কিছুই বলেনি; নিজ দেশে ট্রাম্পের অবস্হা নড়বড়ে অবস্হা বুঝতে পেরে, উত্তর কোরিয়া নিজের অবস্হানকে শক্ত করে নিয়েছে সহজেই, এখন আমেরিকাকে মেনে নিতে হবে যে, উত্তর কোরিয়া একটি আনবিক শক্তি। অবশ্য এটি বিশ্বের জন্য ভালো হয়েছে; অকারণে একটি আনবিক যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হচ্ছে! দ: কোরিয়া ও জাপান কোন অবস্হায় যুদ্ধ চাচ্ছে না; যুদ্ধ হলে বাংলাদেশ মোটামুটি থেমে যাবে। কোরিয়ান পার্লামেন্ট ট্রাম্পের বক্তৃতা পুরোপুরিভাবেই প্রত্যাখান করেছে; ট্রাম্প দ: কোরিয়ান পার্লেমেন্টে বক্তৃতার সময়, কিম পরিবারের সবাইকে পাগল, চোর-ডাকাত,বাটপার, ডিক্টেটর বলে সন্বোধন করেছে; এগুলোর প্রতি দ: কোরিয়ানরা উৎসাহ দেখায়নি; দ: কোরিয়ার লোকজন যুদ্ধের ভংকর ফলাফল অনুমান ও অনুধাবন করছে।
চীন,রাশিয়া ও আমেরিকা ২ কোরিয়ার এক হওয়ার বিপক্ষে কাজ করে যাচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়ানরা তা বুঝে; কিন্তু উ: কোরিয়ার ফানাটিক মিলিটারীকে কিছুতেই বুঝাতে পারছে না দক্ষিণ কোরিয়ার লোকজন; দ: কোরিয়া অপেক্ষা করতে চায়, সময়ের সাথে কিম পরিবার ক্ষমতা হারাতে পারে, হয়তো।
আমেরিকানদেরও অপেক্ষা করার দরকার; কারণ, উ: কোরিয়া যেই অবস্হানে আছে, এখন যুদ্ধে গেলে দ: কোরিয়ায় ও জাপানে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে; সর্বোপরি এখনকার মতো থাকলে, উ: কোরিয়া কোন অবস্হায় আমেরিকা, দ: কোরিয়া বা জাপানকে আক্রমণ করবে না। আসলে, আমেরিকা যদি কিছু না বলে, এক সময় রাশিয়ানরা নিজের থেকে কোরিয়াকে সাহায্য করা বন্ধ করে দেবে; কারণ, সাংস্কৃতিকভাবে রাশিয়ানরা কোরীয়ানদের ফ্যান নন। বাকী থাকছে চীনারা; আমেরিকা যদি নিজের বাজারকে কন্ট্রোল করে, চীনাদের ভুয়া মালপত্রের বাজার ছোট হয়ে আসবে।
ট্রাম্পের প্রতি মানুষের সমর্থন কমে যাওয়া ও স্পেশাল কাউন্সেলর মুলারের তদন্ত বিশ্বের জন্য ভালো হয়েছে; কারণ, সীমিত আনবিক যুদ্ধ বলে, কোন কিছু পৃথিবী এর আগে দেখেনি; এবং তা যে সীমিত থাকবে বলে তার নিশ্চয়তা নেই; কারণ, চীনাদের চরিত্র বলতে কোনকিছু নেই; তারা যেকোন কিছু করতে সক্ষম, বিশষ করে পুটিনের সমর্থন পেলে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩১