মনে হচ্ছে, রোহিংগা সমস্যার সঠিক সমাধানের কথা চীনই বলছে; আসেম সন্মেলনে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিংগা সমস্যা স্হায়ীভাবে সমাধানের পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি প্রস্তাব করেছেন যে, রাখাইনে প্রথম দরকার অস্ত্র বিরতী, যাতে কোন প্রকার হিংসাত্মক আক্রমণ পুনরায় না হয়; এরপর, বাংলাদেশ থেকে রোহিংগাদের ফিরায়ে নেয়া; এবং দারিদ্রতা দুরী-করণের মাধ্যমে সমস্যার স্হায়ী সমাধান করা। উনার কথায় ২টি বিষয় অপরিস্কার রয়ে গেছে!
একটি অপরিস্কার বিষয় হলো, রোহিংগাদের নাগরিকত্বের কি হবে? তারা যখন পুনরায় ফিরে যাবে, তখন থেকে কি তারা সেই দেশের নাগরিক হিসেবে গণ্য হবে? অন্য বিষয়টি হলো, অস্ত্র-বিরতি; এখানে পরিস্কার নয়, অস্ত্র কার হাতে আছে? এতে কি স্হানীয় রাখাইন ভিক্ষুদের ও আরসাকে বুঝানো হয়েছে, নাকি সব রোহিংগাদের যোগ করা হয়েছে? রোহিংগাদের কাছে কোন অস্ত্র নেই; যা সামান্য অস্ত্র থাকলে থাকতে পারে আরসার সদস্যদের হাতে। চীন চাইলে, আরসাকে ১ দিনের মাঝে রাখাইন ত্যাগ করতে হবে। কিছুটা সমস্যা হবে রাখাইন ভিক্ষুদের নিয়ে; তারা মানসিকভাবে কখনো রোহিংগাদের মেনে নেবে না; এসব ভিক্ষুদের কোন এক এলাকায় সরিয়ে নিতে হবে; কিংবা রোহিংগাদের সরিয়ে নিতে হবে।
আসলে চীন রোহিংগাদের মুল সমস্যার কথা বলেছে, রোহিংগারা দরিদ্র; এই এলাকায় দারিদ্রতা দুরীকরণে চীনাদের থেকে বেশী দক্ষ কেহই নয়; চীনারা আসলে বার্মাকে মোটামুটি নিজেদের দেশের মত ব্যবহার করছে: তারা গ্যাস ও তেল তুলছে, রাস্তাঘাট বানাচ্ছে, কলকারখানা গড়ছে, জমি চাষ করছে; তারা চাইলে রোহিংগাদের ২/১ বছরের মাঝে ট্রেনিং দিয়ে দক্ষ শ্রমিককে পরিণত করতে পারবে; শিশু ও কিশোরদের পড়ালেখার ব্যবস্হা করতে পারবে। মনে হয়, রোহিংগাদের কপাল ফিরছে; চীনাদের জন্য ১৫ লাখ রোহিংগা কিছুই না; তারা ১ বছরেই সবাইকে কাজে লাগাতে পারবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫২