আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন যে, একজন বাংলাদেশী তরুণ নিউইয়র্কে সুইসাইডেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়েছে গতকাল; এখন পুরো আমেরিকায় বাংলাদেশ নিয়ে আলাপ হচ্ছে! বোমাটি মোটামুটি বাংগালী দক্ষতার ফসল হওয়াতে সবদিক রক্ষা হয়েছে, শুধু বোমারুমিয়ার ক্ষতি হয়েছে যে, উনি বেহেশতে না গিয়ে ভালো হাসপাতালে আছেন।
উনি জানা্যেছেন যে, ইহুদীরা জেরুসালেমকে রাজধানী করাতে, ও ট্রাম্প উহাতে স্বীকৃতি দেয়াতে উনি আক্রমণ চালায়েছেন। উহার লজিকে সামান্য সমস্যা যে, উনি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়ে যাদের হত্যা করতে চেয়েছিল, তাদের বেশীর ভাগই উহার মতই ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে হওয়ার সম্ভাবনা ৯০%; শতকরা ১০ জনের কম আমেরিকান ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে।
বাংলাদেশে ইসলামের বিবর্তন ঘটছে দ্রুতভাবে; এখন প্রতিটি বাংগালী চাইলে একখানা কোরান শরীফ সংগ্রহ করার মত অবস্হানে আছেন; ২ কোটীর বেশী বাংগালী আরবীতে কথা বলতে পারেন; এরা কোরানের সুরা থেকে, আয়াত থেকে রেফারেন্স দেন; কোরান শরীফকে ব্যাখ্যা করেন। কিন্তু এদের অনেকেরই সামজিক জীবন খুব একটা স্বাভাবিক নয়, যুগের সাথে, অর্থনীতির সাথে, টেকনোলোজীর সাথে এদের সমন্ময় নেই তেমন।
১৯৬০ সালের দিকে মাদ্রাসার ছেলেরা মোটামুটি আরবীতে কথা বলতে পারতো না; তারা বরং উর্দু ও পার্সীতে কোরানের ব্যাখ্যা পড়তেন, এবং প্রচুর বয়স না হওয়া অবধি ধর্মীয় সভা সমিতিতে ওয়াজ ঐত্যাদি করতেন না। এখন ১৫/১৬ বছর বয়সেই সবাই আরবীতে রেফারেন্স দিচ্ছেন, ধর্ম নিয়ে মতামত দিচ্ছেন; ১৫/১৬ বছরের তরুণদের কর্মকান্ডে সাধারণত তারুণ্য জড়ি্যে থাকার কথা, কিশোরের প্রভাব থাকার কথা; ধর্ম, জীবন, রাজনীতি, প্রফেশান কোনটাই তাদের মাঝে পুরোপুরি পরিপুর্ণতা পাবার কথা নয় সেই বয়সে।
আমেরিকায় ৬ লাখের বেশী বাংগালী আছেন, আগামীতে ১০ বছরের মাঝে সমপরিমাণ বাংগালী এই দেশে আসবেন; বাংগালীদের শতকরা ২/৪ জন ব্যতিত, সবাই এখানে জীবিকার সন্ধানে এসেছেন, ভালো জীবনের সন্ধানে এসেছেন, এবং চেষ্টা করছেন এই দেশের মানুষের সাথে মিশে ভালো থাকার জন্য। এই দেশে থেকে, এই দেশের সাধারণ মানুষের থেকে উপকৃত হয়ে, এই দেশের মানুষকে হত্যা করার মত অপরাধী মনোভাব যাদের তারা নিশ্চয়ই ধর্মকে ঠিকভাবে বুঝেনি।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:৪৯