বিশ্বের বর্তমান অবস্হায় ইরানের জয় সম্ভব নয়। কমপক্ষে বাংগালী মুসলমানেরা চায় যে, ইরান আমেরিকাকে একটা শিক্ষা দেক; কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব নয়; ইরানের তেল থেকে যে আয়, তাতে ইরানে কোনভাবেই বেকার থাকার কথা নয়; এমন কি শাহের যুগে ইরানকে বিদেশী শ্রমিক আমদানী করতে হয়েছে। ইরানের আবহাওয়া, অর্থনীতি ও জমির পরিমাণ থেকে অনুমান করা সম্ভব যে, ইরান খাদ্য রপ্তানী করতে পারার কথা, সেখানে খাদ্যের মুল্য অনেকের জন্য সমস্যা কেন; সমস্যা কি: খাদ্য কম, নাকি গড় আয় কম? আসলে, দুটোই!
আমেরিকাকে থামাতে হলে, ইরানকে কমপক্ষ উত্তর কোরিয়ার মত মিসাইল ও আনবিক বোমার অধিকারী হতে হবে; শিক্ষা দেয়ার কথা পরে। আমেরিকা ইরানকে কোনদিন বোমা বানাতে দেবে না; কারণ, আহমেদি নেজাদ ঘোষণা দিযয়েছিল যে, ইরানের ১ম বোমা ইসরায়েলের উপর পড়বে, এবং দেশটিকে মানচিত্র থেকে মুছে দেয়া হবে; এই কথাটি, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের বাহিরে তেমন কেহ পছন্দ করেনি। রাশিয়া ও চীন মিলে উত্তর কোরিয়াকে যেভাবে টেকনোলোজী দিচ্ছে, ওরা কিন্তু ইরানকে তা দেবে না।
আজকে ইরানে যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে, সেটা সাধারণ মানুষের চাওয়া; ইহাকে আমেরিকান ষড়যন্ত্র বলে দমন করতে গেলে, সমস্যা বড় হবে; এবং কিছু মানুষ আমেরিকার দিকে ঝুঁকে পড়বে। ইরানীরা সরকার বিরোধী মিছিল করলেও ওরা আমেরিকাকে পছন্দ করে না; জোর করে ওদেরকে আমেরিকার শিবিরের দিকে ঠেলে দিলে, আমেরিকা আসতে দেরী হবে না, ওরা উপসাগরে আছে সারাক্ষণ।
আজকের ইরানীরা যা চাইছে, সেটা অনেক আগেই ইরানের থাকার কথা ছিলো; ইরানের মতো দেশে যেখানে বিদেশী লোকের দরকার আগেই ছিলো, সেই দেশে বেকারত্ব নিশ্চয় কারো না কারো ভুল পলিসির জন্য হচ্ছে! খাদ্য মুল্য সাময়িকভাবে কমানোর জন্য সাবসিডি দেয়ার মতো টাকাও ইরানের আছে; এরপর, খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রোগ্রাম নিলে, ইরান খাদ্য রপ্তানী করতে সক্ষম হওয়ার কথা। সমস্যা একটা, ওদের সুপ্রীম লিডার শিয়া সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও বেতন দিচ্ছে তেলের পয়সা থেকে; ইহা বন্ধের দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:০৫