গড়ে, 'সিংগেল প্যারেন্ট'এর সন্তানেরা সাধারণ পরিবারের সন্তানদের চেয়ে কম ভালোবাসা, কম দয়া-মায়া, কম এটেনশন পেয়ে মানুষ হচ্ছে। পশ্চিমে গড়ে, শতকরা ২৫% ভাগ পরিবারের সন্তানেরা শুধু মাতা, বা শুধু পিতার সাথে বড় হচ্ছে; এবং এক সময় এরা সমাজর অংশ হয়ে যাচ্ছে! সবকিছু কম পাবার ফলে, এদের মানসিকতায় কি দয়ামায়া, ভালোবাসার কমতি পড়বে, এরা কি কোনভাবে সমাজকে প্রভাবিত করবে?
বাংলাদেশ, ভার্ত ও পাকিস্তানের শহরগুলোতে কষ্টকর একটা নাম হচ্ছে 'টোকাই'; এরা মাতাপিতাহীন, পরিবারহীন অবস্হায় বড় হচ্ছে! যদিও পুরো জনসংখ্যার তুলনায় এদের সংখ্যটা ছোট, এদের ভবিষ্যত কি, সমাজে এরা কোন ধরণের স্হান পাচ্ছে? মাতাপিতা না থাকলে এরা কাদের সন্তান হিসেবে এই সমাজে আছে? দেশের সাথে এদের সম্পর্ক কি? পশ্চিমে এখন আর টোকাই নেই; আছে 'সিংগেল প্যারেন্ট'এর সন্তানেরা।
বিধবা বা বিপত্নীকদের সন্তানেরা জানে যে, তাদের মাতা বা পিতার মৃত্যু হয়েছে; ফলে, এরা একক মাতা, বা পিতার সাথে, বা সৎ-মাতাপিতার সাথে বড় হওয়ার মানসিকতা নিয়ে বড় হয়ে উঠে; এদের মনে ভয় ও হারানোর বেদনা থাকলেও ক্ষোভ থাকে না। কিন্তু ডিবোর্স বা অবিবাহিত পিতামাতা আলাদা হলে, সন্তানদের মনে বিশাল চাপ পড়ে, ভয়, হতাশা ও ক্ষোভের সন্চার হয়। পশ্চিমে গড়ে শতকরা ৩০/৩৫ টি পরিবার গড়ে উঠছে বিবাহ বন্ধন ব্যতিত, এদের আলাদা হয়ে যাওয়াটার পরিমাণও খুবই বেশী, এদের সন্তানেরা যার সাথে থাকে, তাকেই জানে, যে ( বাবা কিংবা মা) চলে যায়, তার সাথে সন্তানদের বন্ধন থাকে না বললেই চলে।
আগামী কয়েক বছরের মাঝে পশ্চিমের ক্ষমতায়, রাজনীতিতে ও ব্যবসা বাণিজ্যে প্রতি ৩ জনে ১ জন হবে কম ভালোবাসা, কম দয়ামায়ায়, কম এটেশনে মানুষ হওয়া মানুষ। এদিকে পুর্বে জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঘটবে, যাদেরকে পশ্চিমের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে; বিশ্ব বেশ কমপ্লেক্স পরিবর্তনের মুখোমুখী হচ্ছে!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৭