শেখ হাসিনা ও বেগম জিয়ার মাঝে, বেগম জিয়াই(১০৯১-১৯৫) প্রথম অসুষ্ঠ নির্বাচন করেছিলেন। বেগম জিয়ার প্রথম টার্মের শেষে(১৯৯১-১৯৯৫) আওয়ামী লীগ সুষ্ঠ-নির্বাচন চেয়েছে, গণতন্ত্র চেয়েছে; বেগম জিয়া সুষ্ঠ-নির্বাচন দেননি; তাই সেবার ২ বার নির্বাচন হয়েছে; ২০০৬ সালে, আবারও আওয়ামী লীগ সুষ্ঠ-নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম শুরু করেছিল সেই বছরের অক্টোবর থেকেই; বেগম জিয়া কিছুতেই সঠিকভাবে নির্বাচন দেবেন না, উনি প্রেসিডেন্টকে তত্বাবধায়ক বানায়ে, নিজে বিনা-প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়ে যান; যাক, মিলিটারী ক্ষমতা দখল করায় উনাকে কষ্ট করে দেশ চালাতে হয়নি।
২০১৪ সালে, বেগম জিয়া গণতান্ত্রিকভাবে সুষ্ঠ-নির্বাচন চেয়ে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়েছেন; উনি পাননি; এবারও চেয়ে চলছেন, না পাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা আছে।
এটা একটা সুন্দর প্যটার্ণ, এ্ই ২ দলের মাঝে যারা ক্ষমতা হারেয়ে ফেলে, তারা গণতান্ত্রিক-মনা হয়ে যায়, সুষ্ঠ-নির্বাচন চায়; কিন্তু তারা জানে যে, নিজের সময় তারা কোন অবস্হায়ই সুষ্ঠ-নির্বাচন দেবে না।
শেখ হাসিনা জানেন যে, তিনি নিজেই ৩৬ বছর আওয়ামী লীগের সভাপতি, এবং এটা গণতান্ত্রিক নয়; তিনি এও জানেন যে, বেগম জিয়াও অগণতান্ত্রিকভাবে ৩৪ বছর বিএনপি'র সভাপতি হয়ে আছেন; এই অবস্হায়, বেগম জিয়া যিনি নিজেই অগণতান্ত্রিক, তিনি গণতান্ত্রিক অধিকার চাইলে, শেখ হাসিনা কি সহজে দেবেন? কোন অবস্হায়ই দেবেন না।
দেশে যদি কোন সুস্হ গণতান্ত্রিক দল থাকতো, এবং তারা যদি সুষ্ঠ-নির্বাচন চাইতো, এবং শেখ হাসিনা সুষ্ঠ-নির্বাচন দিতে বাধ্য হতেন; কোনভাবে না দিলেও, নিজে কিন্তু ভয়ের মাঝে থাকতেন। বেগম জিয়ার ব্যাপারে, শেখ হাসিনাকে কোনভাবে ভীত, শংকিত, উৎকন্ঠিত বা চাপের মাঝে আছেন বলে মনে হচ্ছে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৬