বিশ্বের সব সভ্য দেশগুলিতে সরকারগুলো পরিবেশ রক্ষায়, বনজংগল রক্ষায় কঠিন কঠিন আইন করছে; ব্রাজিলের রেইনফরেষ্ট রক্ষার জন্য আমেরিকা, জাপান ও ইউরোপ ব্রাজিলকে শুধু চাপ দেয়নি, রিলিফ দিয়েও সাহায্য করেছে, যাতে গাছ না কাটে! বাংলাদেশে, প্রশাসনের লোকজন ১৭০ বছরের পুরাতন গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস করতে যাচ্ছিল, মানুষ তাদেরকে আপাতত ৬ মাসের জন্য থামায়েছে কোর্টের মাধ্যমে; হয়তো ভোটের আগে আর কাটার কথা বলবে না; সরকারের উঁচু পর্যায় থেকে এখনো কোন বিবৃতি আসেনি, পার্লেমেন্টের কোন সদস্য এ ব্যাপারে কোন বিল আনার কথা বলছে না; আসলে, সাধারণ বাংগালীরা গুণে, জ্ঞানে, ভাবনায়, ধ্যনে প্রশাসন কিংবা সরকার থেকে অনেক সামনে!
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়েও একই ঘটনা ঘটে চলেছে, মানুষ আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন থামানোর জন্য, সরকার থামেনি; বিশাল বিনিয়োগের পর, একদিন বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঠিক থেমে যাবে! সরকার যেখানে সুন্দর বনকে রক্ষা করবে আগামীদিনে জলবায়ু পরিবর্তনের কথা ভেবে, সেখানে সরকারই সুন্দরবনের ক্ষতি হবে জেনেও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ করে চলেছে; এরা সাধারণ মানুষ থেকে অনেক পেছনে। সাধারণ মানুষকে সরকার দোষ দিয়েছে যে, মানুষ বুঝতে পারছে না, এগুলোর পেছনে বিএনপি আছে! বিএনপি'র লোকেরা কি সরকারী লোকদের চেয়ে বেশী বুদ্ধিমান? বিএনপিও সরকার চালায়েছে হবুর চন্দ্রের মতো, ওদের ইতিহাস কি মানুষ ভুলে গেছে? বিএনপি'র মাঝে কে আছে, যিনি সুন্দরবন নিয়ে ভাববে? বাংলাদেশের কোন শিক্ষিত মানুষ ভাবে যে, বেগম জিয়া, রিজভী, কিংবা মির্জা সাহেবরা বুদ্ধিমান? সরকার ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদরা মানুষ থেকে কয়েক যুগ পেছনে পড়ে আছে।
১৯৭২ সালের সরকারে, আওয়ামী লীগের ভাবনা, পদক্ষেপ সবই ছিল পাকিস্তানী প্রশাসনের অনুকরণে; যুদ্ধের ৯ মাসে, সাধারণ মানুষ যুদ্ধ করে, প্রাণ দিয়ে, শত্রুকে হারায়ে এক শক্তিশালী জাতি হিসেবে বেরিয়ে এসেছিল; আওয়ামী লীগ যুদ্ধেে জড়িত থাকার পরও নিজেদের নেতার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাকিস্তানের পরিত্যক্ত ব্যুরোক্রেট ও প্রশাসনকে জোড়াতালি দিয়ে দেশ চালানো শুরু করে; ব্যুরোক্রেটদের পাকিস্তানী অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে আসলে পাকিস্তানী প্রশাসনই চালায়েছে, এবং আজো সেটাই চলছে! শুরু থেকেই প্রশাসন ও সরকার মানুষ থেকে অনেক পেছনে পড়ে আছে।
এসব সরকার ও প্রশাসন জাতিকে বরাবরই পেছনে টেনে রেখেছে; এরা পেছনের সারির লোকজন!