শেখ হাসিনা সিলেটে ও বরিশালে নির্বাচনী সভায়, "হাত তুলে ভোটের ওয়াদা" নিয়েছেন; এটা কি আধুনিক রাজনীতি, নাকি জামাতকে অনুসরণ? উনি মানুষের সামনে হাত তুলে কি "ওয়াদা" করেছেন যে, মানুষ হাত তুলে ওয়াদা করলেন? তিনি মানুষকে মিথ্যা বলার দিকে ঠেলে দিলেন, যারা হাত তুলে ওয়াদা করেছেন, এদের মাঝে অনেকেই নৌকাকে ভোট দেবে না; এদের অনেকে চক্ষু লজ্জায়, অনেকে ভয়ে হাত তুলেছেন।
উনি তাদের কি দেয়ার "ওয়াদা" করার পর, শ্রোতাদের থেকে ওয়াদা নিলেন? ওয়াদার রাজনীতি পাকিস্তান আমলে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা; আধুনিক বাংলাদেশে মানুষ ভোট দেবেন, তাদের প্রতিনিধি পার্লামেন্টে পাঠানোর জন্য; ওখানে কি ওয়াদার কিছু আছে? শেখ হাসিনার এখনো পাকিস্তানী রাজনীতিতে আছেন, যেখানে ওয়াদা করতে হয়, কোরান হাতে ওয়াদা করানো হয়। শেখ হাসিনা জাতিকে অপমাণিত করেছেন, জাতি সম্পর্কে উনার ধরণা খুবই নিম্নমানের; উনার রাজনীতি ও ধারণা শক্তি অবশ্যই আধুনিক নয়; উনি নাগরিক স্বাধীনতা হয়তো বুঝেন না।
একটা মিশন নিয়ে তিনি রাজনীতিতে এসেছিলেন, বিচার; সেটার খুবই দরকার ছিলো; কিন্তু সেটাই একমাত্র মিশন হতে পারে না; জাতিকে বেঁচে থাকতে হবে, ভালো করতে হবে, জীবনের মান উন্নয়ন করতে হবে, সেটা যদি না থাকে, একা বিচার দিয়ে জাতি কি করবে?
উনাকে ভোট দেয়ার জন্য হাত তুলে ওয়াদা করা উচিত সালমান রহমান, মহিউদ্দিন আলমগীর, আলম ব্রাদার্স, খুলনা পাওয়ারের কর্ণেল ফারুক, জয়নাল হাজারী, যারা ব্যাংক পেয়েছে, ইউনিভার্সিটি করার অনুমতি পেয়েছে, যারা বিদ্যুত-কেন্দ্র করার অনুমতি পেয়েছে, যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত না দিয়ে প্রাসাদের মালিক হয়েছে তাদের। তিনি এদের থেকে আওয়ামী লীগের জন্য ২ লাখ ভোটের ওয়াদা পাবার কথা।
যে লোক নিজের ভিটাবাড়ী বিক্রয় করে ছেলেকে সৌদী, মালয়েশিয়া বা ইতালী পাঠায়েছে, কি কারণে সেই লোক ওয়াদা করবে? উনি সেই লোকের জন্য কি ওয়াদা করেছেন? বেকাররা ও তাদের পরিবারের লোকেরা কি কারণে উনাকে ভোট দেয়ার জন্য ওয়াদা করবেন? হাত হয়তো এই ধরণের লোকেরাও তুলেছেন; তবে, ওরা ওয়াদা ভংগ করবে সানন্দে, এবং গালি দিতে দিতে।
ভোট পাবার জন্য উনাকে জাতির জন্য কাজ করতে হবে, এই যুগে ভুল ওয়াদার এক পয়সাও মুল্য নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৬