উত্তর কোরিয়ার সাথে যুদ্ধ শুরু হলে, প্রথম ২/১ দিনের মাঝেই দ: কোরিয়ার ২/১ মিলিয়নের মানুষের মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা আছে; এই অবস্হার মাঝেও ২ কোরিয়ার খেলোয়াড়গণ এক টিম হিসেবে এবারের শীতকালীন খেলায় অংশ নিয়েছে; এই ঘটনা কোরিয়ার মানুষদের এত বেশী উৎসাহিত করেছে যে, আড়াই সপ্তাহ কোরিয়ানরা হাসিমুখে বিশ্বকে দেখায়েছে যে, তারা হয়তো ভয়কে জয় করতে চলছে। খেলায় পাগলা কিমের বোন এসেছিল, দ: কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে মিটিং করেছে; আর কিছু না হোক, বাড়ী গিয়ে পাগলা মিয়াকে অশান্ত হতে মানা করবে হয়তো।
পুরো কোরিয়া আড়াই সপ্তাহ মেতেছিলো; বিদেশীরা এসেছিল, সবাই খুশী; ব্যবসা হয়েছে, অনেক লোক কোরিয়ান ভাষায় কথা বলেছে ২/৪ লাইন, সবাই খুশী, মনে থেকে হঠাৎ যুদ্ধের ভয়টা কেটে গেছে।
শীতও বিরাট সম্পদ, শীত ও বরফ আছে বলেই শীতকালীন অলিম্পিক করতে পেরেছে; অলিম্পিকের জন্য বিশাল পরিমাণ খরচ করতে হয়েছে; মনে হয়, খরচ হয়েছে ১.৫ বিলিয়ন ডলার। দ: কোরিয়া সরকার উত্তর কোরিয়ার টিমের সব খরচ বহন করেছে, সেখানেও ২.৫ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। খরচের পুরো টাকা অলিম্পিক থেকে উঠেনি; তবে, আগামী ১০ বছরে, ট্যুর ও বাণিজ্য থেকে সেই থেকে উঠে আসবে ও অনেক লাভ হবে। তবে, কোরিয়ানরা খুশী যে, একটা খেলা তাদেরকে কিছু সময়ের জন্য হলেও আশাবাদী করেছ।
আমাদের কিছু একটা দরকার যা আমাদের জনতা ও সরকারের মাঝে একটা বাঁধনের সৃস্টি করবে; কোরিয়নাদের মত আমাদের মাথার উপর এটমবোমা ঝুলছে না, কিন্তু আমরা ফরমালিন, কার্বাইড, কেমিক্যাল, হিংসা, লোভ, চুরি, বন্চনার শিকার। আমাদের সরকার জনতাকে ভয় পায়, জনতা সরকারকে বিশ্বাস করে না; জনতা নিজের ক্ষতি করে দুষ্টদের পক্ষে চলে যায়, নিজেদের মাঝে ঐক্য করার চেষ্টা করে না।
আমাদের শিক্ষিত ও অশিক্ষিতদের মাঝে একটা সম্পর্কের দরকার; আমাদের শিক্ষিতরা সব সুযোগ দখল করে রেখেছে, বাকীদের কিছু দিতে চাহে না; অশিক্ষিত দরিদ্রদের শুধু বিদেশে বিক্রয় করছে, আর বিদেশী মুদ্রা আয় করছে; দেশে দরিদ্রদের জন্য চাকুরি সৃষ্টির কোন চেষ্টাই করা হয়নি; আমাদের শিক্ষিতরা শুধু নিজের জন্য পড়ালেখা করে।
আমাদের কোন একটা উপলক্ষ্য দরকার যা আমাদের মানুষের মাঝে একটা বন্ধনের সৃস্টি করবে; কোরিয়ানরা অলিম্পিক করেছে, আমরা কি করবো, কারো মাথায় কোন আইডিয়া আছে?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৮