সরকার পাটুরিয়া না মাটুরিয়ায় আরেক পদ্মাসেতু করার জন্য ঋণ চাচ্ছে এডিবি'র কাছে; আগামী ২ বছরের মাঝে এডিবি বাংলাদেশকে ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে চাচ্ছে; সরকার দেশটিকে ঋণের মাঝে ডুবায়ে সেতুর কন্ট্রাক্টর হচ্ছে; চীনাদের দিয়ে এক সেতু করতে গিয়ে আনন্দ পেয়েছে; ৩ বিলিয়ন ডলারের সেতু করতে ৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করে মজা পেয়ে গেছে।
পদ্মার পশ্চিম তীরে এমন কিছু ঘটছে না যে, ওখানে যেতে আসতে ২টি সেতুর দরকার; ওখানে মানুষ ব্যতিত অন্য কোন কাঁচামাল নেই যে, ঢাকায় আনার জন্য আরো একটা সে্তুর দরকার। এক সেতু হোক, দেখা যাক কত যাত্রী যাওয়া আসা করে, তখন না হয় দেখা যাবে; মনে হচ্ছে, এডিবি আজকাল ঋণ বিক্রির জন্য ক্লায়েন্টও খুঁজে পাচ্ছে না, পেয়েছে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশে চাকুরী সৃষ্টির দরকার, শিক্ষিত বেকার ও অর্ধবেকারে দেশ ভরে গেছে; নতুন গ্রেজুয়েটদের চাকুরী দিতে হলে, বছরে দেশে ৫ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার দরকার। বসুন্ধরা, ওরিয়ন, ফালু ব্রাদার্স নতুন গ্রেজুয়েটদের চাকুরী সৃষ্টি করে না, অদক্ষদের জন্যও চাকুরী সৃষ্টি করে না; বসুন্ধরার জন্য দরকার ভুমিদস্যু, ওরিয়নের জন্য দরকার অভিজ্ঞা সামান্য কিছু লোক; আর ফালু ব্রাদার্স এখন ষ্টক-মার্কেট নিয়ে ব্যস্ত।
দেশকে উন্নত করতে হলে, মানুষের শ্রমকে কাজে লাগাতে হবে, নতুন গ্রেজুয়েটরা যদি টিউশানী করে, তাতে দেশের জিডিপি বাড়বে না, বেকারত্ব কমবে না; দরকার কলকারখানা, টেকনোলোজী, যাতে দেশের শ্রম দেশে থাকে, দেশের টাকা দেশে থাকে। এখন মাথাপিছু আয় ১১ শত ডলার, উন্নত-দেশ হতে হলে ১১ হাজার ডলার বা তারচেয়েও বেশী হতে হবে।
এডিবি থেকে ১০ বিলিয়ন নিয়ে, নতুন গ্রেজুয়েটদের জন্য টেকনোলোজিক্যাল কলকারখানা ও আভ্যন্তরীণ চাহিদার মালামাল দেশে উৎপাদের জন্য, গ্রেজুয়েটদের ও সরকারী মালিকানায় হাইটেক কলকারখানা করা সম্ভব; সরকার দেশের প্রয়োজন অনুসারে কলকারখানায় হাত দিয়ে, উৎপাদনে গিয়ে উহাকে গ্রেজুয়েটদের ও শ্রমিকদের কাছে হস্তান্তর করতে পারে; কারখানর লোকজন কারখানার মালিক হবে, তারাই এডিবির টাকা ফেরত দেবে; সরকার ঋণের পর ঋণ নিয়ে, ঋণের সুদ দিয়ে বাজেটের টাকা হারাচ্ছে; এটা বন্ধ হওয়ার দরকার।
সেতু যেটা হচ্ছে, সেটা শেষ হোক, বাংগালীরা উহা দেখে শিখুক; পরেরটা নিজেরা করতে পারবে; নিজ জাতির সাথে কন্ট্রাকটারী করা ঠিক হচ্ছে না।
কোন অবস্হায় এখন ২য় পদ্মাসেতুর দরকার নেই, দরকার চাকুরী সৃষ্টির।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৭