নির্বাচনের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, জাপান ও আমেরিকানরা চাইবে যে, বেগম জিয়াকে যেন জামিন দেয়া হয়! সরকারের উচিত হবে, তার আগে বেগম জিয়াকে জামিন দিয়ে, আপিলের মীমাংসা করা। সরকার যদি ওদের কথায় বেগম জিয়াকে জামিন না দেয়, বেগম জিয়ার পক্ষে জামিন পাওয়া সম্ভব হবে না। বিএনপি একা বেগম জিয়াকে বের করতে পারবে না; এবং হয়তো, একা বেগম জিয়ার জন্য নির্বাচন বয়কটও করবে না।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি হেরে যাবার সম্ভাবনা খুবই বড়; তারপরও অনেকে বিএনপি প্রার্থী জয়ী হতে পারে; বিএনপি থেকে নির্বাচিত এমপি'রা বুঝতে চাইবে যে, তারেক জিয়াকে লন্ডনে বসে কেন বিএনপি চালাতে হবে, দেশে কি মানুষ নেই? আর যারা হেরে যাবে, তারা প্রথমে আওয়ামী লীগকে গালি দেবে; কিন্তু শেষমেষ তারেক জিয়ার ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলবে, সভাপতি যদি লন্ডনে থাকে, দল কি করে জয়ী হবে বাংলাদেশে! তখন তারেক জিয়ার প্রতি অন্ধতার অবসান ঘটবে।
তখন দলের বিজয়ী অনেক এমপি তারেক জিয়ার নেতৃত্ব মানবে না; তারা বুঝতে পারবে যে, বেগম জিয়া কিংবা তারেক কোন প্রভাবক নয়, রাজনীতি করে ভোটে জেতা সম্ভব। পরাজিতদের অনেকেই নিজেদের পরাজয়ের জন্য জিয়া পরিবারকে এক সময় দায়ী করবে।
নমিনেশনের আগে যদি বেগম জিয়া জামিনে বের না হয়, নমিনেশন অনেক সোজা হয়ে যাবে; আগের মতো এত টাকা পয়সা লাগবে না; ফলে, ব্যবসায়ীদের সংখ্যা কমে যাবে, কিছু রাজনীতিবিদও নমিনেশন পেয়ে যাবে। কিছু পরিমাণ রাজনীতিবিদ জয়ী হলে, তারা বিএনপি'কে নতুন করে গঠনের জন্য চাপ দিবে; কারণ, তারাই হবে দলের মুল শক্তি।
বিএনপি যদি বিরোধীদল গঠন করতে পারে; তারা অকারণ তারকে জিয়া ও বেগম জিয়ার বোঝা টানতে চাইবে না। দলের তরুণরা কিছুদিন বেগম জিয়া ও তারেকের পক্ষে গলাবাজি করবে, তারপর থেমে যাবে। বেগম জিয়া তখন বাধ্য হয়েই অবসরে যাবেন। বেগম জিয়া অবসরে গেলে, তারেক আর রাজনীতিতে টিকবে না।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫৭